নতুন বছরের প্রাক্কালেই সুখবর! সামনেই শিশুদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু। সেই নিয়ে এখন সর্বত্রই ব্যস্ততা। ১৫-১৮ বছরে বাচ্চাদের সর্বপ্রথম শুরু হবে টিকাকরণ। তবে ভ্যাকসিনের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষার বিষয়টিও তৎপরতার সঙ্গে দেখা উচিত। বাচ্চাদের শরীরে অনেক কিছুই সহ্য না হতে পারে। এর আগেও অল্প বয়সীদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনটি বেশি ভাল সেই নিয়ে রব ওঠে। তবে এবার ভারত বায়োটেকের কো-ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেই প্রমাণ করেছে নিজেদের।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে কী জানা গিয়েছে?
ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশাাল লিমিটেড এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে শিশুদের ভ্যাকসিন গ্রহণের পর যাতে দৈহিক সমস্যা না হয় সেইদিকে নজর রাখা আবশ্যিক। এবং BBV152 অর্থাৎ কো-ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ ভাইরিয়ন নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন যেটি শিশুদের যে কোনও রোগ সত্বেও প্রদান করা যাবে। এটি নিরাপদ এবং ইমিউন যুক্ত।
একটি অধ্যয়ন পরিচালনা করেই জানা গিয়েছে এর প্রতিক্রিয়া, ইমিউনজেনসিটি এবং তৃতীয় পর্যায়ের মলিকিউল-কে পরীক্ষা করার জন্য নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। ভ্যাকসিনের মাল্টি লেভেল পরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি শিশুদের ক্ষেত্রে একেবারেই নিরাপদ। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্বের কারণে নির্মিত এই ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময়ই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পেরে তারা সকলেই বেশ আনন্দিত। দেশের মানুষের সুস্থতার স্বার্থে যে এই ভাবনায় তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই কারণেও সকলের কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণযোগ্য।
গবেষণা পত্র কী জানান দিচ্ছে?
২০২১ এ অনেকগুলি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পরেই আজকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর নিরাপত্তা এবং প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ সম্পূর্ণ নতুন পর্যায়ের এই ভ্যাকসিন মানবদেহে কোনও ক্ষতি করবে না সেই নিয়েও আশা করা যায়। বিশেষ করে জানা যাচ্ছে, কো-ভ্যাক্সিন থেকেই নাকি শিশুদের শরীরে সবথেকে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে রিপোর্ট জমা করা হয় এবং সম্প্রতি জানানো হয়েছে যে এই ভ্যাকসিন শিশুদের জরুরি অনুমোদনে দারুণ কাজ দেবে। তবে গবেষণা চলাকালীন কোনও ঋণাত্বক ঘটনার হদিশ মেলেনি। যদিও শারীরিক প্রভাবের কথা উল্লেখ করতে গেলে সামান্য জ্বর এবং দুর্বলতাই দেখা গিয়েছে তাও একদিনের জন্যই।
অ্যান্টিবডি কেমন মাত্রায় লক্ষ্যণীয়?
তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের মধ্যে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের তুলনায় গড়ে ১.৭ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। যেহেতু এটি নিষ্ক্রিয় অ্যান্টিবডি তাই এর নিরপেক্ষতা অনেক বেশি, তবে এটুকু প্রমাণিত এটি ব্যবহার করে শিশুদের একেবারেই ক্ষতি হবে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন