মানবদেহের সব নরম অংশের মধ্যে একটি হল চোখ এবং এর অভ্যন্তরীণ অংশ। এতে আঘাত লাগল যেমন সমস্যা, তেমনই সামান্য পরিমাণে ধুলোকনা পরলেও এটি সহজেই লাল হয়ে যায়। এবং হিসেব মত চোখের নির্দিষ্ট কোনও ব্যায়াম নেই। সুতরাং হিসেব করলে দেখা যাবে এটিকে সাংঘাতিক মাত্রায় সুস্থ এবং সবল রাখার দায়িত্ব মানুষের নিজেরই! এখন অনেক সময়ই দেখা যায় চোখের পাতা ফেলা যাকে সহজ ভাষায় ব্লিংক করা বলে সেটি মানুষ কম করে থাকেন। যদিও বিষয়টি অভ্যাসের দাস নয়, তারপরেও দেখা যায় এমন মানুষও আছেন যাদের মধ্যে চোখের পাতা না ফেলার মত ক্ষমতা খুবই বেশি থাকে।
এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ ঐশ্বর্য সন্তোষ। তিনি বলছেন অনেকসময় চোখের অস্বস্তি, লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানো অনুভূতি, চোখ শুকিয়ে যাওয়া কে গ্ল্যান্ড ইনফেকশন বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে এটির সবক্ষেত্রে কোনও যুক্তিকতা নেই। বরং অনেক সময় সঠিক মাত্রায় চোখের পাতা না পড়লেও এই সমস্যা দেখা যায়।
কতবার চোখের পাতা পড়লে সেটিকে স্বাভাবিক বলে ধরা হয়?
১ মিনিটে ১৫ থেকে ২০ বার এই বিষয়টিকে সঠিক বলে ধরে নেওয়া হয়।
কী কারণে এর মাত্রা কমতে পারে?
ঐশ্বর্য বলছেন বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে, অনলাইন ক্লাস এবং বাড়ি বসে কাজের দৌলতে কম্পিউটার কিংবা স্মার্ট ফোন থেকে চোখ ফেরানো দায়। মানুষ যত বেশি এইদিকে অথবা স্ক্রিনের দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকাবে ততই চোখের পাতা কম পড়বে। যতবার চোখের পাতা পড়বে ততবার টিয়ার ফ্লুইড নামক এক পাতলা তরল সম্পূর্ণ চোখের ভেতরের অংশকে একবার করে দ্রবীভূত করতে পারে যার কারণে এর মধ্যে আদ্রতা বজায় থাকতে পারে।
যদি সঠিক পরিমাণে এটি না হয় তবেই সেই থেকে চোখের শুষ্ক ভাব, ইনফেকশন অনেক সময় সেই থেকে রেটিনা ইনফেকশন দেখা যায় কারণ এর থেকে রেটিনায় হালকা আবরণের কমতি দেখতে পাওয়া যায়।
এর কারণে চোখের সমস্যা হলে কি ধরনের উপসর্গ দেখা যাবে?
চোখ চুলকানো, শুকিয়ে যাওয়া, ফরেন বডি সেনসেশন, অকুলার ডিস কমফোর্ট এগুলি খুব স্বাভাবিক!
এটি চোখের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
এই টিয়ার ফ্লুইডের মাধ্যমেই এক আদ্র ভাব সম্পূর্ণ চোখে আবরণের দ্বারা একে সুরক্ষিত রাখতে পারে। এপিথেলিয়াল সেলকে ড্যামেজের হাত থেকে বাঁচায়। কর্নিয়া তে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যেহেতু রক্তের মাধ্যমে এটি এই অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে না।
চোখের ভেতরে উপস্থিত ডিব্রিস এবং noxious নোংরা সহজেই বের করে দিতে পারে।
যদিও বা আপনার চোখ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবস্টেনস এর সংস্পর্শে এসেও যায়, তারপরেও এর থেকে সুরক্ষা পেতে পারে।