Covid 19 and Blood Pressure: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কালে মানুষের শরীরে দেখা যাচ্ছে নানান রোগের সূত্রপাত। যারা সহ রোগে আক্রান্ত তাদের মধ্যে বাড়াবাড়ি, এবং যাদের মধ্যে কোনও রোগ ছিলই না তারা কিন্তু নতুন করে নানারকম সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন কিছু রোগের মধ্যে হার্টের সমস্যা কিংবা কিডনি এবং ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন প্রচুর মানুষ। তবে এখানেই শেষ নয় করোনা ভাইরাসের কারণে ব্লাড প্রেসারের রোগীদের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। একেতেই মানুষ সম্পূর্ণ বাড়িতে বৈঠা নিয়েছেন সেই সময় দাঁড়িয়ে রোগের আঁকরে ধরা খুব স্বাভাবিক।
কেমন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে ব্লাড প্রেসারে?
হাই ব্লাড প্রেসার কিংবা হাইপাটেনশন হল এমন একটি বিষয় যেটি, ধমনীর গাত্রে রক্তের শক্তি খুব বেশি হয়। এবং সেইসময় রক্ত সহজেই হৃৎপিন্ডে প্রবাহিত হতে পারে না, এমনকি অক্সিজেন সরবারহ করতেও পারে না। ফলেই হৃদরোগের সমস্যা বাড়তে পারে। সাধারনত সুস্থ মানুষের শরীরে রক্তচাপ ১৪০/৯০ হলে নর্মাল এবং ১৮০/১২০ হলেই মারাত্মক হিসেবে বিবেচিত হয়। এবং এই ব্লাড প্রেসার থেকেই কিন্তু শরীরের প্রচন্ড মাত্রায় ক্ষতি হতে পারে, যেমন হার্ট অ্যাটাক কিংবা সেরিব্রাল! এবং এর কোনও সংকেত আগে থেকে পাওয়া সম্ভব নয় তাই প্রাণঘাতী ঝামেলা থাকা স্বাভাবিক।
কী বলছে গবেষণা, আদৌ করোনা এবং ব্লাড প্রেসারের মধ্যে সংযোগ কেমন?
গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, অতিমারি মানুষের মনে যেমন চিন্তার সৃষ্টি করেছে ঠিক তেমনি, তাদের মধ্যে ব্লাড প্রেসারের সমস্যাও বাড়িয়ে তুলেছে। এমনকি মার্কিন প্রদেশের গবেষণা বলছে, কোভিড ১৯ দ্বারা আক্রান্ত না হলেও পরিস্থিতি এবং মানসিক অশান্তির চাপে প্রচুর মানুষ আতঙ্কে পরেই ব্লাড প্রেসারের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।
একটু খেয়াল করেই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুই ধরনের বয়সের মানুষের মধ্যে দুই রকমের পরিবর্তন দেখা গেছে। বেশি বয়সের মানুষদের মধ্যে সিস্টোলিক রক্তচাপ বেরেছে এবং অল্প বয়সীদের মধ্যে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। এবং দুটির কারণেই কিন্তু ধমনী তথা হৃদপিন্ডের মধ্যে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হয় না ফলেই একধরনের সমস্যা দেখা যেতেই পারে।
চিকিৎসকরা কী বলছেন এই বিষয়ে?
তারা জানাচ্ছেন এইসময় শারীরিক ভাবে তো বটেই বরং, মানসিক ভাবে মানুষ আরও বেশি ভেঙে পড়ছেন। চিন্তা এবং দ্বিধা তাকে গ্রাস করছে সুতরাং সেই বিষয়ে নজর দেওয়া খুবই দরকার। মানুষ ক্রমাগতই রোগের চিন্তায় এবং ভাইরাসের প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাচ্ছে। তাই সংক্রমণ কিন্তু মানুষকে আরও আশঙ্কায় ফেলে দিচ্ছে এবং শরীরে জটিলতার সৃষ্টি করছে। দুটি রোগ পরস্পরের সঙ্গে কিছুটা হলেও সম্পর্কযুক্ত। কারণ ব্লাড প্রেসার থাকলে কোভিড হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি, এবং অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরেও ব্লাড প্রেসারের সমস্যায় পড়ছেন।
কীভাবে সুস্থ থাকবেন?
জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে অবশ্যই। সারা সপ্তাহে একবার প্রেসার মাপাতেই হবে। দরকার পড়লে অক্সিজেন লেভেল দেখে নেওয়া প্রয়োজন। বেশিরভাগ সময় রেড মিট বাদ দিয়ে চিকেন কিংবা মাছ খাওয়াই ভাল। যোগা এবং প্রাণায়াম করা ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন