বলিউডের আরেক অভিনেত্রী যিনি অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে নিজেকে পারফেক্ট শেপে এনেছিলেন, তিনি হলেন জারিন খান। এই অভিনেত্রীকে সলমন খানের হাত ধরেই বলিউডে পা রাখতে দেখা গিয়েছিল। বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। যদিও, বা এখন তাঁকে একেবারেই দেখা যায় না। কিন্তু তাঁর ওজন কমানোর জার্নি নিতান্তই সহজ ছিল না।
যখন, স্কুলে পড়তেন কিংবা ইন্ডাস্ট্রিতে আসেননি, তাঁর ওজন ছিল ১০০ কেজি। সেখান থেকে প্রায় নিজেকে কমিয়ে ৫৭ কেজিতে নেমে এসেছিলেন তিনি। প্রায় ৪৫ কেজির কাছাকাছি ওজন কমিয়েছিলেন তিনি। যদিও বা তাঁর চেহারার মধ্যে লালিত্ব বজায় থাকত সবসময়। কিন্তু, অভিনেত্রী কিভাবে নিজেকে সঠিক ওজনে এনেছিলেন, সেই বিষয়ে জানা আছে?
অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি একেবারেই বিশ্বাস করেন না কোনও সহজ উপায়ে। শুধু তাই নয়, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে পথ সোজা হবে না সেকথাও ভেবে নিয়েছিলেন তিনি।
সকাল সকাল যা করতে তিনি...
অভিনেত্রী ওজন কমানোর জন্য ওয়েট লস পিল একেবারেই খেতে পছন্দ করতেন না। শুধু তাই নয়, সকাল সকাল তিনি শুরু করতেন গ্রিন ভেজিটেবল জুস দিয়ে। যাতে লাউ থেকে শুরু করে উচ্ছে, পালং শাক সবই থাকত।
এরপরই তিনি নিজের ব্যায়াম শুরু করতেন। ইয়াসমিন করাচিবালার কথা মতোই তিনি সকলের ব্যায়াম শুরু করতেন, পিলেটস এবং ওয়েটস ট্রেনিং দিয়ে। তারপর ২০ মিনিট করতেন যোগ এবং বাকি সময়টা সুইমিং এ দিতেন তিনি। কোনও কোনও সময়, জগিং করতেও দেখা যেত তাঁকে।
কী কী মাথায় রাখতেন তিনি?
অভিনেত্রী প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর অল্প পরিমাণে খেতেন, যাতে তাঁর কাজ করার এনার্জি বজায় থাকত। একদম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন ভাত এবং রুটি। শুধু অতিরিক্ত প্রোটিন ইনটেক করতে বলা হয়েছিল তাঁকে। ব্রাউন রাইস খেতেন তিনি। জোয়ার বাজরা এবং রাগির ওপর নিজের ডায়েট বেঁধে নিয়েছিলেন।
খাবার থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন, কার্ব এবং সুগার। জাঙ্ক ফুড এবং অতিরিক্ত তেলে ভাজা সবকিছুই নিজের প্রতিদিনের খাবার থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে মাঝেমধ্যে সাইকেলিং করতেও দেখা যেত তাঁকে।
সন্ধ্যেবেলায় ডাবের জল, মাঝে মধ্যে বিন স্প্রাউট এবং ক্লিয়ার কর্ন স্যুপ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।