ওজন কমাতে চান? এদিকে খাবার নিয়ে আপোস করতে চান না? তবে, হ্যাঁ! পরিচালক কোরিওগ্রাফার ফারহা খানের মত আপনিও সহজে ওজন কমিয়ে নিতে পারেন। শুধু কিছু পথ অবলম্বন করতে হবে আপনাদের।
ফারাহ নিজের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে খুব সহজেই তন্বী হয়ে উঠেছেন। একে তো তাঁকে ক্যামেরার সামনে সবসময় দেখা যায়। তাঁর থেকেও বড় কথা, তিনি কোরিওগ্রাফি পর্যন্ত করেন। ফলে সঠিক ওজন ধরে রাখা খুব দরকার। তবে, তিনি বেশ কিছু পন্থা অবলম্বন করেই নিজের ওজন কমিয়েছেন। তিনি প্রায় ১০ কেজি ওজন কমিয়েছেন। যদিও, বা অত্যধিক ডায়েট কিংবা ভয়ঙ্কর ব্যায়াম তিনি কোনোদিন করেন না। তবে, ফারহা খানের সবথেকে বেশি পছন্দের হল বাড়ির খাবার। সেটি তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলেও দেখিয়ে থাকেন।
কী কী করেন ফারহা?
যতদূর তিনি জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি মাথায় রাখেন। যেটি তাঁর ডায়েটকে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যেমন?
১. কোনও সময়ের খাবারের সঙ্গেই আপোস করা যাবে না। তিনবেলার খাবার হতে হবে পুস্তিযুক্ত। সঠিক পরিমাণে কার্বহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট যুক্ত খাবার সবটাই দরকার যেকোনও মানুষের শরীরে। তাই সেটা তিনি মাথায় রাখতেন সবসময়।
২. সুপারফুড ডায়েট। তাঁর ডায়েট চার্ট জুড়ে বেশ কিছু সুপার ফুড ছিল। যেমন, চিয়া সিড, অভোকাডো, এবং আরও কিছু বাদাম। যারা সহজ কথায় ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের জন্য এটা শ্রেষ্ঠ উপায়। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে এটা ভয়ঙ্কর খিদে মেটায়।
৩. খাবার খাওয়ার সময় বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতেন তিনি। যেমন, টিভি না দেখা, সঙ্গে মোবাইল না ব্যবহার করা। এবং পুরো মনোযোগ খাবারে দেওয়া। যাতে মেটাবোলিজম এর ঘাটতি না হয়।
৪. শরীরে যাতে সঠিক হাইড্রেশন সম্ভব হয়, সেটা মাথায় রাখতেন ফারহা। শুধু তাই নয়, সারাদিনে ফ্লুইড এবং জল বেশি খেতেন। সঠিক পরিমাণে জল হজমে সাহায্য করে, এবং শরীরের টক্সিন এর মাত্রা কমায়। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে খিদের মাত্র বেশ কমে। স্কিন হেলথের সঙ্গে সঙ্গে কার্ব সবই নিয়ন্ত্রিত হয় এতে।
৫. ফারাহ একদম বন্ধ করে দিয়েছিলেন চিনি এবং মিষ্টি ফল খাওয়া। চিনি থেকে ক্রোশ দূরে তিনি। এমনকি, মিষ্টি থেকে শুরু করে কোল্ড ড্রিংক জাতীয় সবকিছুই তিনি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ব্যায়াম করতেন ফারাহ?
ফারাহ খান সেভাবে ব্যায়ামের পথে না হাঁটলেও তিনি বেশিরভাগ সময় যেটা করতেন, সেটা হল লিফটের বদলে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা। সঙ্গে আরও নিজের বাড়ির সব কাজ করতেন। এমনকি, সকালে যোগ ব্যায়াম করতেন তিনি।