সবকিছুর পরেও রোগ যেন কমছে না একেবারেই, ডবল ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত। সহজ কথায় হাইজিন মেনে চলতে এবং সুস্থ রাখার অনেক অভ্যাসই মানুষ ভুলেছিলেন। তবে তার সঙ্গেও খাবার দাবার সঠিক পরিমাণে কিন্তু শরীরের জন্য খুবই দরকার। তাই ভেতর থেকে চাঙ্গা থাকতে গেলে খাবার বুঝে শুনে সঠিক মাত্রায় খাওয়া উচিত।
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ নমামি আগরওয়াল বলছেন, শরীরের সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক ঠিক মিউজিক্যাল চেয়ারের মত। অর্থাৎ গান বন্ধ হলেই যেমন চেয়ার ধরে বসার গল্প নইলে বাতিল, তেমনই শরীরের পক্ষে সঠিক পরিমাণে খাবার না খেলে কিন্তু একেবারেই সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি, প্রোটিন, ভিটামিন না পেলে ভুগবেন আপনিই।
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, সবকিছুর সঙ্গেই কিন্তু সারাদিনে সঠিক পরিমাণে জল এবং সকাল সকাল কাঁচা হলুদ খেতেই হবে। মধু এবং কাঁচা হলুদ একসঙ্গে খেলে ঠান্ডা লাগার ধাত কমে, শরীরে ইমিউনিটি বাড়ে এবং শরীর ভাল থাকে। এছাড়া আর কীভাবে শরীর ভাল রাখবেন?
বাসি খাবার একেবারেই নয়। বিশেষ করে ফ্রিজে রাখা রাতের খাবার কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে চট জলদি আসতে পারে তাই সাবধান। তাজা বাড়িতে বানানো খাবার খান।
যত বেশি করে পারবেন সবজি এবং ফল খান। ভিটামিন সি জাতীয় ফল বেশি খাবেন। এর সাইট্রাস ফর্মুলা শরীরকে ভেতর থেকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। খারাপ টক্সিন সহজেই বেড়িয়ে যায়।
বাদাম এবং বীজ জাতীয় শস্য খাওয়া খুব দরকারী। বিশেষ করে আলমন্ড, কাজু এবং সকালবেলা দুধের সঙ্গে খেজুর অবশ্যই খান। প্রয়োজনে ইচ্ছে হলে গ্রিন টি অথবা হিবিষ্কাস টি খেতে পারেন।
আদা এবং রসুন অবশ্যই খান। আদা কেটে নুন মাখিয়ে রেখে দিন। শুকনো হলে সারাদিনে একটি টুকরো হলেও খান। এবং রসুন কিন্তু ভীষণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তথা ইনফ্লেমেটরি। শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহ কম করতে পারে, এনার্জি বাড়িয়ে তোলে।
আমলকী এবং মিষ্টি আলু আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ থাকে।
এগুলি ছাড়াও, সময় মত ঘুম এবং কম চিন্তা ভাবনা। যদি সহ রোগে আক্রান্ত হন, অর্থাৎ প্রেসার এবং সুগার তবে অবশ্যই সময় মত ওষুধ খান। ভ্যাকসিন গ্রহণ করে বাইরে বেরোবেন না, এতে অ্যান্টিবডি নষ্ট হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন