বুস্টার ডোজ নিয়ে বিশ্বের সর্বত্রই হাহাকার। সকলেই যেন একটু বাঁচার আকাঙ্খা। আর চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী শুধুমাত্র ভ্যাকসিন নয় বরং বুস্টার থাকলেই মিলবে ওমিক্রন থেকে রেহাই। সেই কারণেই যেই দেশগুলিতে এখনও রয়েছে বুষ্টারের খামতি সেই দেশেই মানুষের মনে রয়েছে আতঙ্ক। অনেকেই আছেন বহুদিন আগে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাই চিন্তার ভাঁজ সকলেরই।
তবে বুস্টার নিয়ে WHO-এর মতামত কী?
অনেকেই মনে করছেন যাদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে তাদের পক্ষে এখনই বুস্টার গ্রহণ করা সম্ভব। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এখনই কিন্তু এটির কোনও প্রয়োজন নেই। এত তাড়াহুড়ো করার কোনও প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে দেখা যেতে পারে, তখন আলোচনার মাধ্যমে সেটিকে জন সাধারণের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, উন্নতশীল দেশগুলিতে অথবা উন্নত দেশগুলিতে যাদের বেশিরভাগ নাগরিক সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের আওতায় তাদের পক্ষে এই মুহুর্তেই বুস্টার শটের প্রয়োজন নেই।
কোন বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন?
আধানম ঘেব্রেয়েসুস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন বর্তমান ওমিক্রন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুধু বুস্টার ডোজের জন্য চিন্তা না করে নানান পর্যায়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সেইসব দেশে পাঠানো উচিত। এমনকি দেশে যারা করোনা জয়ী মানুষ রয়েছেন তাদের সাহায্যে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে একাও আলোচনা করা উচিত। এগুলির এখন প্রয়োজন রয়েছে, বুস্টার পরবর্তীতে সব দেশের মধ্যেই ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
চিকিৎসকদের কী মতামত?
তাদের বেশিরভাগই বলছেন এই প্রসঙ্গে অনেক আলোচনার প্রয়োজন আছে। নয়তো তাদের কাছে বুস্টার শট মজুত নেই নয়তো বা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার মত সুযোগ তারা মনে করছেন না। তবে বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে এটি সত্যি প্রয়োজন। এবং অনেকেই ভিন্ন মত পোষণ করে জানিয়েছেন সুদূর মার্কিন মুলুকে অনেকদিন যাবত বুস্টার প্রক্রিয়া অব্যাহত। এবং তাদের মধ্যেও বেশিরভাগ নাগরিক সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের আওতায়।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে দেশগুলিতে নিজেদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ওমিক্রন দ্বারা চারপাশের পরিস্থিতি ঠিক কেমন সেই নিয়েও তদারকি অনুভব করছেন তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন