সারা রাতের পর ভোরবেলা যারা ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠেন তাদের পক্ষে কিন্তু খিদে পাওয়া খুব স্বাভাবিক। এবং তার সঙ্গেও রয়েছে এই নিয়ে নানান মিথ, সকলের খাবার একেবারেই মিস করতে নেই সকলেই এই কথা বলেন। কিন্তু আদতে এর বিষয় সাপেক্ষে অনেকেই জানেন না। ব্রেকফাস্ট নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন, কিন্তু আসলে এটি কীভাবে আপনার জন্য কাজ করে সেই সম্পর্কে ধারণা পেতে হবে।
পুষ্টিবিদ এবং ওয়েলনস কোচ, লিউক কুতিনহ বলেন যারা সকালবেলা জলখাবার খান তারাও যেমন সুস্থ আবার যারা খান না তারাও কিন্তু সুস্থ। শুধুই পৃথিবীর সকল মানুষের সৃষ্টি করা কিছু মিথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আপনাকে নিজের মত চলতে হবে। শুধু তাই নয়, তার পরামর্শ অনুযায়ী শরীরের চাহিদা এবং মানসিক বিষয়ে জেনে বুঝে তারপরেই কিন্তু এই পথে নিজেকে চালনা করুন। এবং সেই কারণেই বেশ কিছু বিষয়ে আলোকপাত করার প্রয়োজন আপনার আছে।
আপনার খিদে পেয়েছে? এমন অনেকদিন হয় রাত্রিবেলা দেরি করে খেলে পরেরদিন সকালে খিদে একেবারেই থাকে না। তাই সেইসময় খাবার খাওয়ার প্রয়াস একেবারেই করবেন না। নিজের শরীরের প্রয়োজন আগে বুঝুন তারপরেও সিদ্ধান্ত নিন। নয়ত উল্টে আরও শরীর খারাপ হবে।
লোকে কি বলছে এই শুনেই খান্ত থাকবেন না। নিজেকে আরও দুনিয়ার সঙ্গে জুড়ুন এবং নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার খান। দৈহিক চাহিদা নিয়ে কোনওরকম ভুল করবেন না। এটি কিন্তু ক্ষতিকর।
অনেকসময় সূর্য ওঠার আগে যারা ঘুম থেকে ওঠেন তারা কিন্তু সূর্যোদয়ের দুই তিন ঘণ্টা পরে গিয়ে খাবার খান, তার আগে খাওয়া পছন্দ করেন না। দরকার পড়লে সেদিকেও বিবেচনা করতে পারেন।
অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবেন না। নিজের মতই নিজেকে রাখুন। সকালবেলা ভারী খাবার সহ্য না হলে বেশি খাবেন না। এমনকি অল্প আলমন্ড মিল্ক অথবা সোয়া মিল্ক এগুলি খান। চেষ্টা করবেন ফলের রস না খেতে। তেল ভাজাভুজি না খাওয়াই ভাল। মানসিক ইচ্ছে না থাকলে খাওয়া বন্ধ করুন। অনেকেই সরাসরি ব্রাঞ্চ করেন, এটি কিন্তু একেবারেই খারাপ নয়। আপনার যদি ইচ্ছে থাকে তবে এটি করতেই পারেন। শুধু গ্রিন টি এবং বিস্কুট খেয়েও শরীর ভাল রাখা সম্ভব।
তাহলে আজ থেকে ব্রেকফাস্ট নিয়ে আর সমস্যা নেই। লোকের কথায় নয় নিজের মত করে খাবার খান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন