মহাশূন্যের 'ব্ল্যাক হোল' থিওরি নিয়ে আট থেকে আশির জিজ্ঞাসার শেষ নেই। কারোর শুধুই কৌতূহল। কেউ আবার রীতিমত পড়াশোনা করছেন কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে। কিন্তু তত্ত্ব কথার ওজন এমনই, সাধারণ মানুষের কৌতূহল নিরসন হয়না। রহস্য রহস্যই থেকে যায়। আদতে কিন্তু আগাগোড়া বিজ্ঞানে মোড়া এক ঘটনা। অতএব তাতে সবার সমান অধিকার, এই ভাবনা থেকেই ব্রিটিশ কাউন্সিল কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে আয়োজন করছে এক আলোচনা সভার। জ্যোতির্বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্ব সহজ ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের মনে।
কৃষ্ণ গহ্বরের রহস্য উন্মোচনের দায়িত্বে থাকছেন কলকাতার বিশিষ্ট পদার্থবিদ ডঃ দেবীপ্রসাদ দোয়ারি। আর বিজ্ঞানকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলের 'ক্যাফে সায়েন্টিফিক' উদ্যোগ। বাংলার কচিকাঁচা এবং ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের এক মঞ্চে আসার সুযোগ দেয় ক্যাফে সায়েন্টিফিক। উদ্দেশ্য একটাই, বিজ্ঞানচেতনা পৌঁছে যাক ঘরে ঘরে। শনিবার বিকেল সাড়ে ছটার সময় ব্রিটিশ কাউন্সিলেই শুরু হবে ঘণ্টা খানেকের আলোচনাসভা।
আরও পড়ুন, জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস: গল্পকথায় মানুষকে বিশ্বাস করানোর রাজনৈতিক প্রচেষ্টা?
ডঃ দেবীপ্রসাদ দোয়ারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানালেন, "বিজ্ঞানের অগ্রগতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, রোজ নতুন কিছু আবিষ্কার হচ্ছে। অনেক নতুন তথ্য এবং তত্ত্ব উঠে আসছে সেখান থেকে। কৃষ্ণ গহ্বরকে আগে অনেকেই কল্প বিজ্ঞানের গল্প বলে মনে করতেন। এখন তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করছে। মাস দুয়েক আগে ব্ল্যাক হোলের ছবি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে যে আলোড়ন পড়েছিল, কলকাতাতেও আছড়ে পড়ে তার ঢেউ। এটি খুব সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয় বিষয়। আর আমি একটি কথা বিশেষ করে বলতে চাই, বিজ্ঞান কোনও একটি বিষয় নয়। বেচে থাকার নামই বিজ্ঞান। বিজ্ঞানমনস্ক না হলে যুক্তিবাদী হওয়া যায় না। আজকের দৈনন্দিন জীবনে স্যাটেলাইট থিওরি, জিপিএস সিস্টেম ছাড়া আমাদের গতি নেই। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের তত্ত্ব মেনেই যে এসব হচ্ছে, এইটুকু তো বুঝতে হবে"।