দেশ জুড়ে ওমিক্রন এর রেশ ক্রমশই বাড়ছে। তার সঙ্গেই বাড়ছে উদ্বেগ। মৃদু উপসর্গ হিসেবে একে আখ্যা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে এর প্রকোপ দেখেই ক্রমশ ভীত চারিদিক। চিকিৎসক মহলের কপালে ভাঁজ এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। তবুও রোগ থেকে সুস্থ হওয়া সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবং তার সঙ্গেই নিজেকে চাঙ্গা রাখাও বেশ দরকারি।
একথা অজানা নয়, যে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলির মত অত্যধিক মাত্রায় জ্বর, কিংবা স্বাদ গন্ধ চলে যাওয়ার মত সমস্যা এই ভাইরাসের নেই। কিন্তু শারীরিক দুর্বলতার প্রসঙ্গকে কোনওভাবেই এড়ানো যাচ্ছে না। এবং এর থেকে অসুস্থতার মাত্রা আরও বেশিদিন মানুষকে কষ্ট দিতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। সুতরাং যে বিষয়টিকে নজরে আনা প্রয়োজন, আদৌ এর থেকে রেহাই কিংবা নিজেকে পুরনো মোড অনুযায়ী কীভাবে তৈরি করা যায়। বেশ কিছু নিয়ম এবং টিপস ফলো করলেই ভাইরাসের আক্রমণের পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতা কেটে যাওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অবশ্যই সেগুলি হেলদি হ্যাবিট এবং নিজস্বতার সঙ্গে সেগুলিকে মানা উচিত! একদিনও নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করা উচিত নয়। সঙ্গেই বজায় রাখতে হবে ভাল ডায়েট এবং সঠিক পরিমাণে ঘুম, তবেই শরীরকে এক্কেবারে ভাল রাখা সম্ভব।
করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরেই কিন্তু একাধারে খাবার খেতে শুরু করলে চলবে না। আস্তে ধীরে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এইসময় খিদে একেবারেই কমে যায়, তাই সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা খুব জরুরি। ঠান্ডা এবং বাসী নয়, হালকা গরম বাড়িতে বানানো খাবার আপনার পক্ষে ভাল প্রমাণিত হতে পারে। যতক্ষণ না হজমের সমস্যা ঠিক হচ্ছে এটি মানতেই হবে।
হালকা ধরনের ব্যায়াম করা একেবারেই বন্ধ করলে চলবে না। শরীরকে কষ্ট দেবে এমন কিছু নয়, আপনার দুর্বলতা দুর হবে এইধরনের ব্যায়াম অবশ্যই করা উচিত। বিশেষ করে প্রাণায়াম এবং যোগা অবশ্যই!
টক জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি যুক্ত ফল যদি শরীরে সহ্য না হয় তবে একেবারেই খাবেন না। এতে আপনার শরীরের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই ভেবে চিন্তে।
হঠাৎ করেই ইচ্ছে হলে অতিরিক্ত মাত্রায় কার্ব হাইড্রেট এবং মিষ্টি না খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে সোডা জাতীয় কিছু একেবারেই না। আপনার দুর্বল শরীরের পক্ষে এগুলি সঠিক নয়।
মন ভাল রাখতে যেটি ইচ্ছে করে সেটিই করুন, মনে রাখবেন মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা বেশি দরকারি। ভাইরাস শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনকেও দুর্বল করতে পারে তাই সাবধান। ভাল করে শ্বাস নিন, অনুলোম বিলম করুন দেখবেন আপনিই সুস্থ থাকবেন।
সকাল সকাল ওঠা অভ্যাস করুন! সূর্যের আলো গায়ে লাগানো বিশেষ করে এই সময় বেশ দরকারি। বাড়িতে ঘাস থাকলে খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস করুন।
রোগ শুধু ওষুধে নয়, নিয়ম মেনে ভাল থাকলেও কম হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন