বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মিষ্টি অনেকের অপছন্দ হলেও, কেক কিন্তু অনেকেই পছন্দ করেন। এর শ্বাস এবং ময়েশ্চার মানুষকে টেনে নিয়ে আসে এর কাছে। কিছু কিছু খাবার এমন হয় যেগুলি আমাদেরকে অনেকের কাছে নিয়ে আসে। আর কেক কিন্তু সহজ কথাই গিলটি প্লেজার। হাজার দিন ডায়েটের পর একদিন চীট ডে মানেই কেক।
Advertisment
পুষ্টিবিদ রাশি চৌধুরী বলছেন, এমন অনেকেই আছেন যারা ভীষণ ডায়েট নিয়ে চিন্তিত। এর বাইরে বেরিয়ে একেবারেই কিছু খান না, যেটি কিন্তু ঠিক নয়। আবার অনেকেই আছেন খাওয়াদাওয়ার পরে ভাবেন ভুল হয়ে গেল, এরকম করলেই ভারী মুশকিল। তিনি আরও বলেন সারাদিনে জাঙ্ক ফুড অনেকেই খায় তারপরেও কতটা কী ভাবে শরীরে যাচ্ছে সেই নিয়েই সন্দেহ থেকে যায়।
এমন কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলি শুধু ভাল থাকতেই মানুষ উপভোগ করতে চান। মন ভাল নেই? একঘেয়েমি লাগছে সেই কারণেও অনেক ধরনের খাবার স্থান পেয়েছে মানুষের মণিকোঠায়। তার মধ্যে একটি কেক, বিশেষ করে চকোলেট কেক। এটি কিন্তু মানসিক ভাবে মানুষকে ভাল রাখতে বেশি কার্যকরী! কীরকম?
অনেকেই মনে করেন কেক খুব ভাল এবং লোভনীয় একটি খাবার। এটি তাদের ভাল থাকার রসদ। এর থেকে মানুষ মন থেকে সুখী থাকে এবং কোনও কিছুই ভাল ভাবে খেলে সেটি শরীরে ভাল ভাবেই কাজ করে।
সকলের সঙ্গে বসে কেক খাওয়ার মজাই আলাদা। তাই এটি পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল করে। আর খাবার মানেই সব খারাপ সম্পর্কের ইতি! এমনিতেও বলা হয় যেকোনও নতুন সম্পর্কের শুরু মিষ্টিমুখ দিয়ে হলেই ভাল আর কেকের থেকে বেশি ভাল আর কিই বা আছে?
মানবদেহে অনেক ধরনের হরমোনের মধ্যে হ্যাপি হরমোন একটি। এটি মানসিক ভাবে মানুষ দারুণ থাকলে তখনই ক্ষরণ হয়। এবং চকলেটের মধ্যে সেই ক্ষমতা রয়েছে মানুষকে মন থেকে ভাল রাখার। সেরেটোনিন এবং অক্সিটোসিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করলেই মানুষ আনন্দে থাকতে পারে।
কেকের কারণে মানুষ মন থেকে তৃপ্তি পায়, এমন জানা গিয়েছে গবেষণায়। সেই থেকেই ডোপামাইন ক্ষরণ হতে পারে। তৃপ্ততা আপনাকে ঘিরে থাকবে।
সবথেকে বড় কথা মাঝে মধ্যে একটু আধটু মিষ্টি খাওয়া খুব দরকারি। এর থেকেই শরীরে অল্প কার্ব, স্বল্প চর্বি থাকতে পারে। তাই এটি আপনার জন্য এমনিও ভাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখনটেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন