শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, মাল্টি নিউট্রিশন এগুলির মতই ক্যালোরি কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই ডায়েট প্ল্যানে ক্যালোরি একেবারেই বাদ দিয়ে দেন এটি কিন্তু মারাত্মক ভুল। কারণ ক্যালোরি সঠিক পরিমাণে শরীরে না থাকলে কোষগুলি উজ্জ্বল এবং পুষ্টিকর হবে না। তবে মনে রাখতে হবে সব ক্যালোরি ভাল নয়, দৈহিক বিকাশে দরকার ভাল ক্যালোরি অথবা পুষ্টিকর ক্যালোরি।
Advertisment
কোনও খাবারে যদি ক্যালোরির তুলনায় চর্বি বেশি থাকে তবে সেটির থেকে ভাল পুষ্টি পাওয়া খুব মুশকিল। এমনকি সঠিক পরিমাণে শুধু ক্যালোরি থাকলেই হল না, এর উৎসকে ভাল হতে হবে। কোয়ালিটি ভাল হলেই সেটির থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
কোন ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকলে সেটিকে ভাল ক্যালোরি বলা হয়?
যাতে ফাইবারের মাত্রা ভাল থাকে, অর্থাৎ খিদের মাত্রা কমায়।
যাতে প্রোটিনের মাত্রা ভাল থাকে কিংবা সঠিক থাকে, কারণ প্রোটিন না থাকলে খুব মুশকিল।
যাতে ভিটামিন এবং মিনারেলস জাতীয় পদার্থ বেশি থাকে। অর্থাৎ দৈহিক ভারসাম্য জলের ভাব রক্ষা করা সম্ভব।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকতে হবে, তবে ইমিউনিটি বাড়বে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
আর কোনগুলো খারাপ ক্যালোরি হিসেবে গণ্য হয়?
যাতে ফ্যাটের মাত্রা অত্যধিক থাকে।
প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গেই মিনারেলস এবং ভিটামিনের লেশমাত্র থাকে না। এমনকি যদি ধরনের ক্যালোরি শরীরে দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে আইস্ক্রিম এবং রাঙা আলু। দুটোই ধাঁচে মিষ্টি কিন্তু এতে পুষ্টির হেরফের প্রচুর। আইস্ক্রিম খারাপ ক্যালোরি প্রদান করে, এতে ফাইবার প্রোটিন কিছুই থাকে না। অন্যদিকে রাঙা আলু নানা পুষ্টি সমৃদ্ধ সঙ্গে খেতেও ভাল। ক্যালোরি এমন হবে যেন শরীরের গাফিলতি কমানো যায়, শরীরে ফ্যাটের মাত্রা হ্রাস পায়।