Omicron and Nasal Shot: করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই, এবং এই কথা একেবারেই অস্বীকার করার মত নয় যে এতদিন ভ্যাকসিন কিন্তু নানানভাবে সাথ দিয়েছে। তবে এবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দ্বারাই মানুষ এত ভীত। কারণ WHO এর মত অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন গুলি একেবারেই নতুন ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সক্ষম নয়।
তবে এবার এক নয়া সংযোজন! সেটি কি? বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে নাসাল ভ্যাকসিন এই বিষয়ে দারুন কাজে আসতে পারে। এবং সেটির খোঁজ মিলেছে দেশের মধ্যেই! একেবারেই তাই! হায়দ্রাবাদে বায়োটেক সংস্থা অর্থাৎ যারা কো ভ্যাকসিন নির্মাণ করেছিলেন তারাই এই নতুন আবিষ্কারে রত। যতদূর জানা যাচ্ছে ইনট্রানাসাল ভ্যাকসিন শট নিয়েই তারা বর্তমানে ব্যস্ত। এবং তাদের বৈজ্ঞানিকদের মতামত অনুযায়ী এটি কিন্তু নিঃসন্দেহে আপনার দৈহিক ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম।
দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে পার্থক্য কী?
যেটি সাধারণ ভ্যাকসিন সেটি সূচ দিয়ে চামড়া অথবা স্কিনে প্রয়োগ করা হয়, তবে এই নাসাল ভ্যাকসিন ঠিক যেমন ভাবে ড্রপ নেওয়া হবে সেই পদ্ধতিতে সম্ভাব্য। যেটি জানা যাচ্ছে, এটিকে মিউকোসাল মেমব্রেন কে লক্ষ্য করেই নাসারন্ধ্র দ্বারা প্রয়োগ করা হবে।
চিকিৎসা শাস্ত্র সূত্রে জানা যাচ্ছে নাসাল ভ্যাকসিন পরিচালনা করা অনেক সহজ! বিশেষ করে নাক এবং গলায় থাকা টি কোষগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে কোভিড ১৯ এর নানান ভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারে।
কীভাবে এগুলি কাজ করবে দৈহিকভাবে?
যেহেতু কোভিড ১৯ এর শুরু থেকে নাক মুখ এবং গলাকে সতর্কতা অবলম্বনের আওতায় ফেলা হয়েছে- তাই এই নাসাল শট বেজায় কার্যকরী। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন গুলি সিক্রেটরি ইমিউনো গ্লোবিন তৈরি করে সঙ্গেই যে পথ দিয়ে ভাইরাস প্রবেশ করার সুযোগ সবথেকে বেশি সেইখানেই প্রতিক্রিয়া শুরু করতে পারে।
বেশিরভাগ চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, যেহেতু এটি নাসারন্ধ্র দিয়ে প্রবেশ করতে পারে তাই শুধু সংক্রমণ কম নয়, বরং এটিকে এড়াতেও সাহায্য করে। এই ইমিউন প্রতিক্রিয়া নাকের সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যাকে রোধ করতে পারে।
আদৌ অমিক্রন থেকে এটি রেহাই দিতে সক্ষম?
গবেষণায় প্রমাণিত যে শ্বাসযন্ত্র এবং নাক জনিত সমস্যায় নাসাল শট সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেই বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই চলবে না। সুতরাং এটি সবথেকে ভাল শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করতে পারে এই নিয়ে একেবারেই সন্দেহ নেই। এবং ওমিক্রনকেও টাটা বাই বাই বলা এর কাছে চুটকি ভর বিষয়। এমনও জানা গিয়েছে শুধুই ওমিক্রন নয়, নানাধরনের প্রাণীদেহের ফ্লু থেকেও এটি মানবদেহকে বাঁচাতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন