ভাইরাসের কবলে চারিদিক। এবং মানবদেহে অ্যান্টিবডি কমে যাওয়াতে ক্রমশই তারা নিত্যনতুন ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ ডেল্টা কিংবা কেউ করোনা ভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে। ওমিক্রন কেস ভারতের বুকে এখনও খুব বেশি নয়, তারপরেও ঝুঁকি কোনওভাবে অস্বীকার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে করোনা থেকে দ্বিতীয় সংক্রমণের সম্ভাবনার বিষয়টি চিকিৎসকরা অনেকদিনই জানিয়েছিলেন। বিশেষ করে ছয় মাস সম্পন্ন হলেই এর থেকে ঝুঁকি বেশি থাকবে এমনটাই জানিয়েছিলেন তারা। তাহলে ওমিক্রন সংক্রমণ ঠিক কী বলছে?
Advertisment
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একবার কোনও ব্যক্তি যদি অমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত হয়, তবে পুনরায় এর থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই থাকছে। বিজ্ঞানীদের ভাবনাও ঠিক একইরকম। বিশেষ করে এর থেকে মৃদু সংক্রমণ এবং উপসর্গের কারণেই সকলের মধ্যে নাজেহাল অবস্থা। তাই চোরা উপসর্গ থেকে যাওয়ার কারণেই এমনটা সম্ভব বলেই জানানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, একবার ওমিক্রন সংক্রমিত হলে সেই ব্যক্তির শুধু এটাই হবে এমন কোনও সত্যতা নেই। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও দ্বিতীয়বার এর লক্ষণ দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হয়নি। এমনকি বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যারা ডেল্টা থেকে সংক্রমিত হচ্ছেন তারা পরবর্তীতে ভাল করে হেলথ চেকআপ করান। মিউটেশন যদি সঠিকভাবে নেগেটিভ পর্যায় না পৌঁছায়, তবে কিন্তু বেজায় সমস্যা।
বিশেষ করে যেসকল ব্যক্তিরা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তাদের শরীর কিন্তু বিভৎস মাত্রায় সক্রিয় থাকে যেকোনও ভাইরাসের কবলে সরাসরি আসার। অন্তত ৫ গুণ বেশি সম্ভাবনা থাকে ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে ভোগার। যদিও বা উপসর্গের লিস্ট এখনও সম্পূর্ণ নয়। তবে হালকা আঁচ পেলেও কিন্তু টেস্ট অবশ্যই করানো উচিত।