ছোট থেকে বড় দাঁতের সমস্যা না বলে কয়েই আসতে পারে। আক্কেল দাঁত কিংবা দাতের গোড়া ক্ষয় - সব মিলিয়েই রাত বিরেতে এক তুমুল ব্যথা। দাঁতে ক্যাবেটিস কিংবা একধরনের শিরশিরানি অনুভূতি কিন্তু বেজায় কষ্ট দিতে পারে। বেশিদিন এই ব্যথা সহ্য করাও যায় না। আবার ক্যাবেটিসের মুল অর্থাৎ মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশিদিন না খেয়ে থাকাও যায় না।
Advertisment
ক্যাবেটিস কীভাবে দাঁতে ক্ষয় করে?
ছোট থেকে বড় সকলের দাঁতে এনামেল থাকে। এবং সময়ের সঙ্গেই সেই এনামেলের লেয়ার পাতলা হতে থাকে। ফলেই, চিনি কিংবা সুগার জাতীয় ড্রিংক যদি অত্যধিক মাত্রায় কেউ পান করতে থাকে, সেই থেকে ব্যাকটেরিয়া ক্রমশই মুখে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। সেই থেকেও কিন্তু দাঁতে ক্ষয়, গর্ত, পোকার প্রভাব বাড়তে থাকে।
ক্যাবেটিস কী সহজেই প্রতিরোধ করা যায়?
খুব একটা সহজ কাজ এটা নয়। বরং দাঁতের কোনও সমস্যাই সহজে কমানো সম্ভব নয়। কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব কমানো যায়, যার কারণে ব্যথা কিংবা শিরশিরানি ভাব একটু হলেও কমে। ফ্লুরাইড যুক্ত দাঁতের মাজন ব্যবহার করতে হবে এর থেকে মুখে ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা একটু হলেও কমে।
কীভাবে এই সমস্যার থেকে রেহাই মিলবে?
এই সমস্যার থেকে রেহাই পেতে গেলে বেশ কিছু অভ্যাসে বদল আনা প্রয়োজন। ওষুধ কিংবা দাঁতের ট্রিটমেন্ট এর থেকেও সেগুলি ভাল কাজে দেবে। যেমন ;
অ্যাসিড জাতীয় কিংবা সুগার ড্রিংক পান করার সময় অবশ্যই স্ট্র ব্যবহার করুন এতে অ্যাসিড গোটা মুখে ছড়িয়ে পড়ে না।
যদি অ্যাসিডিক সমস্যায় ভোগেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টাসিড নেওয়া শুরু করুন, তাহলে প্রভাব একটু হলেও কমবে।
দাঁতের এনামেল যাতে সঠিক অবস্থায় থাকে সেইদিক বিচার করে প্রবায়টিক সেবন করা অবশ্যই দরকার। এতে দাঁতের ওপর পাতলা লেয়ার বজায় থাকে।
এবং মনে করে ছয় মাস পরপর দাঁতের ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।