Ram Navami: ভারতজুড়ে রাম নবমীতে ভগবান রামের জন্মদিন জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়। সারা বিশ্বের হিন্দুরা অত্যন্ত ভক্তি ও উৎসাহের সঙ্গে রাম নবমী উদযাপন করে। এই বছর, রাম নবমী পালিত হবে ৬ এপ্রিল, রবিবার। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে রাম নবমী পালিত হয়। এবার দেখে নেওয়া যাক রাম লালাকে তাঁর প্রিয় কোন কোন খাবার সাজিয়ে দেবেন।
পঞ্জিরি: রামলালার অতি প্রিয় নৈবেদ্য পঞ্জিরি বা ঘি-ভাজা আটা। এই বিশেষ পদে থাকে ধনে, ঘি ও চিনি। সঙ্গে তুলসী পাতা যোগ করলে তা আরও পবিত্র হয়। মানুষের বিশ্বাস, এই নৈবেদ্য বিবাহিত জীবনে সৌহার্দ্য এবং মধুরতা আনে।
বেসনের লাড্ডু: বেসনের লাড্ডু হল একটি জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টি যা বেসন ঘি, চিনি এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা হয়। রাম নবমীতে এটি রাম লালার প্রসাদ হিসেবে ঠাকুরের সামনে পরিবেশন করেত পারেন।
নারকেল লাড্ডু: নারকেল লাড্ডু-ও রাম নবমীর প্রসাদ। নারকেল কুঁচি, চিনি এবং দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়।
সুগন্ধী চালের পায়েস: রামের আরেকটি প্রিয় খাদ্য হল চালের পায়েস। দেবী কৌশল্যা নাকি পুত্র লাভের আশীর্বাদস্বরূপ এই প্রসাদ পেয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তাই আজও সন্তান লাভ ও সুখ-শান্তির কামনায় রামনবমীতে চালের পায়েস নিবেদন করার রীতি প্রচলিত।
পঞ্চামৃত: দুধ, দই, ঘি, মধু এবং চিনি দিয়ে তৈরি পঞ্চামৃত হিন্দু দেবদেবীর নৈবেদ্য তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রামনবমীতে এটি ভগবান রামের মূর্তিতে অভিষেক ও নৈবেদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কথিত রয়েছে, নিয়ম মেনে এই রীতি পালন করলে ভক্তদের ভাল ফল পান।
কন্দমূল: বনবাসের সময় রামের প্রধান খাবার ছিল কন্দমূল। তাই রামনবমীতে কন্দমূল নিবেদন করা এক বিশেষ প্রথা। এটি নিবেদন করলে পারিবারিক কল্যাণ ও শান্তি আসে বলে মানুষের বিশ্বাস।
কেশর ভাত: জাফরান ও চাল দিয়ে তৈরি কেশর ভাত রামনবমীর আরও একটি ঐতিহ্যবাহী প্রসাদ। শাস্ত্র মতে, এটি ভগবান রামের অত্যন্ত প্রিয় খাবার। তাই এই ভোগ নিবেদন করলে দারিদ্র্য দূর হয় এবং জীবনে সমৃদ্ধি ফিরে আসে।
মিষ্টি পোহা: মিষ্টি পোহা হল একটি সহজ রেসিপি যা রাম লালাকে নিবেদন করা যায়। পোহা বানিয়ে তার সঙ্গে কলা বা আম দিয়ে সাজিয়ে ভগবান রামকে উৎসর্গ করতে পারেন।
মিষ্টি ভাত বা 'মিঠা চাওয়াল': এটিও রাম নবমীর অন্যতম প্রসাদ। এছাড়াও ভগবান রামকে আপনি ইচ্ছে হলে লুচি, আলুর দম, সুজির হালুয়া, নিরামিষ ছোলা মাখাও দিতে পারেন।