একজন সাধারণ মানুষের শরীর বুঝে সারাদিনে কম থেকে বেশি ৬ বার খাওয়া উচিত। হালকা পাতলা খাবার, কোনও সময়ে ফল কিংবা স্ন্যাক্স সব মিলিয়ে তার সঙ্গে অবশ্যই জল রয়েছে - পুষ্টিবিদরা বলে থাকবে ৫-৬ ঘণ্টা পর পর খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু দুপুরের খাবার খাওয়ার পর মাঝখানে ছোট বিরতিতে ফল খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ন! তবে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা, একবার খাওয়ার তৎক্ষণাৎ তাদের খিদে পেতে পারে, এই লক্ষণ একেবারেই ভাল নয়।
Advertisment
খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু সময়ের মধ্যেই যদি আপনার খিদে পায় তবে এটি শরীরের হরমোনাল সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। অনেক সময় দেখা যায়, ব্লাড গ্লুকোজ কিংবা ইনসুলিন এর সঙ্গে যুক্ত। অবশ্যই এর পেছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। যেমন ;
ব্লাড সুগার কিংবা ইনসুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি :- যারা এই রোগে আক্রান্ত তাদের কিন্তু খাবার খাওয়ার পরেই ব্লাড সুগার এবং ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলেই সেটি খিদের দিকে ইঙ্গিত করে। এই সময় যদি কেউ একটু সময় অপেক্ষা করে তাহলেই বোঝা যাবে যে একেবারেই খিদে নয় অতি দৈহিক সমস্যা।
সঠিক মাত্রায় প্রোটিন :- খাবারে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হল প্রোটিন। তার কারণ, এটি শরীরে না গেলে পেশী উন্নত হবে না, কোষের সমস্যা দেখা দেবে। তাই মাথায় রাখতে হয় যেন, এটি সঠিক মাত্রায় শরীরে ঢোকে - হজম করা একটু কঠিন তবে খিদের মাত্রা কমায়।
খাবারের পরিমাণ :- এক প্লেট ভর্তি খাবার নিয়ে বসলেই হল না, সেটি পুষ্টিকর কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষ করে খাবার খেতে খেতে অন্য কাজ করা একেবারেই ভাল নয়। মন দিয়ে সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়াই ভাল।
পুষ্টির অভাব :- নিজের কারণেই খাবারে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ, অনেকেই জানেন না যে ক্যালোরি এবং ভাল ফ্যাট শরীরের পক্ষে দরকারি। কিছু ফল যেমন আঙ্গুর কিংবা আম, লিচু কলা অল্প পরিমাণে হলেও খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ক্যালোরি খেতে হবে এই ভেবে আইস্ক্রিম, কুকিজ না খেলেই ভাল।
শরীরে চর্বির অভাব :- যত কম মাত্রায় চর্বি ততই কম লেপটিন থাকবে শরীরে। এবং এটি কম থাকলে শরীরে এই সংকেত পৌঁছাবেই না যে খিদের চাহিদা মিটেছে। সঠিক পরিমাণ ফ্যাট শরীরে রাখার ব্যবস্থা করুন।