Advertisment

পায়ে পায়ে নর্মদা সারা; মোহনা থেকে উৎস পর্যন্ত হেঁটে পাড়ি দিলেন চন্দন বিশ্বাস

পুণ্য অর্জন করতে এতটা পথ যে পাড়ি দেননি, সে কথা বারবারই জোর দিয়ে বলেন তিনি। বরং ধর্ম-কর্মের ব্যাপারে যে তিনি বেশ নিঃস্পৃহ, তা জানাতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও রাখ ঢাক নেই তাঁর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নর্মদার পাড়

মোহনা থেকে উৎস, মাঝে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ। নর্মদার উৎস সন্ধানে মোহনা থেকে শুরু হয়েছিল যাত্রা। চলতে চলতে আজ পৌঁছলেন অমরকণ্টক। যাত্রা শেষ হল হৃদয়পুরের চন্দন বিশ্বাসের। নামটা চেনা লাগছে? হ্যাঁ, সেই চন্দনই, যে কি না ২০১৭তে সাইকেল নিয়ে চষে ফেলেছিলেন ট্রান্স হিমালয়। যাঁর যাত্রাপথের ধারাবিবরণী প্রকাশিত হচ্ছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সাইটে।

Advertisment

এবার অবশ্য তাঁর বাহনটিও ছিল না সঙ্গে। সঙ্গী শুধুই রুকস্যাক। আর অদম্য উৎসাহ।

নর্মদার মোহনা থেকে উৎসের ভৌগোলিক দূরত্ব এক হাজার ষাট কিলোমিটার। রাস্তায় দুর্ভেদ্য শূলপানেশ্বর এবং পুনাসার জঙ্গল পড়ায় পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্ভব হয়নি সেটুকু। বাকি হাজার সাত কিমি পথ চলতে চলতে ঠিক পৌঁছেই গেলেন উৎসের কাছাকাছি। অভিযানের শুরুটা হয়েছিল জুলাই-এর মাঝামাঝি।

আরও পড়ুন, পায়ে হেঁটে, ইচ্ছেমতো নর্মদা (সপ্তম চরণ)

publive-image সর্দার সরোবর ড্যাম

গুজরাত, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ছত্তিসগঢ়ের ওপর দিয়ে প্রায় দেড় মাস হেঁটে গন্তব্যে (মধ্যপ্রদেশের অমরকণ্টক) পৌঁছলেন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় চন্দন। অধিকাংশ সময় রাত কাটিয়েছেন পথের কোনও মন্দির কিমবা আশ্রমে। না, পুন্য অর্জন করতে এতটা পথ যে পাড়ি দেননি, সে কথা বারবারই জোর দিয়ে বলেন তিনি। বরং ধম্ম-কম্মের ব্যাপারে যে বেশ নিঃস্পৃহ, তা জানাতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও রাখ ঢাক নেই তাঁর। ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্যই বেছে নিয়েছিলেন ওই অঞ্চল।

publive-image সফরসঙ্গী ১৮ কিলোর রুকস্যাক

৪৬ দিনের অভিজ্ঞতার ঝোলাটার একটু একটু করে ওজন বেড়েছে রোজ। আর এখন তা সঙ্গে থাকা ১৮ কেজির ব্যাগটার চেয়েও অনেক ভারী। সফরকালে দেখা হয়েছে কত মানুষের সঙ্গে। কখনও বাইশে শ্রাবণে দেড়শ চাড়া গাছ লাগিয়েছেন নর্মদা তীরে। কখনও আবার আশ্রমের বাবাজির রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এবং নিরপেক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে সময় কাটিয়েছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

publive-image অমরকণ্টকে চন্দন

দিন কয়েকের মধ্যেই শহরে ফিরবেন চন্দন। ব্যাগভর্তি স্মৃতি উজাড় করে আবার বেরিয়ে পড়বেন 'হয়তো কোথাও, হয়তো অন্য দেশে'।

তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার জন্য তাঁর ধারাবাহিক লেখাটি চলবে। যাত্রাপথের অশেষ বিবরণের অনেকটাই যে এখনও বাকি!

Advertisment