/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-12-2025-10-27-22-16-25.jpg)
Chandannagar Jagaddhatri Puja 2025: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-13-2025-10-27-22-16-38.jpg)
বিশাল উচ্চতার প্রতিমা
Chandannagar Jagaddhatri Puja 2025: কোথাও ২৪ তো কোথাও ২৬ ফুটের বেশি উঁচু প্রতিমা। এই বিশাল আকারের প্রতিমা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সঙ্গে রয়েছে মন ভরানো ঝলমলে আলোর সাজ। একসময়ের ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগর যেন এই কয়েকটি দিন বাংলার সেরা পর্যটনস্থল। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্যোক্তারা মনে করেন, বিশাল আকারের প্রতিমা তৈরি করলে তা দর্শনার্থীদের মনে বিশেষ প্রভাব ফেলে। সেই কারণে জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপগুলোতে যেমন ভিড় হয়, তেমনই বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতেও ভিড় লেগে যায়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-2025-10-27-22-18-41.jpg)
পুজো কমিটির বক্তব্য
এই ব্যাপারে চন্দননগরের বড়বাজার জগদ্বাত্রী পুজো কমিটির সদস্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি প্রতিমা বড় আকারের হয়। আমাদের বলা হয়েছে, জগদ্ধাত্রী মানে হল জগৎকে যিনি ধারণ করে রেখেছেন। জগৎ যেহেতু বৃহৎ। তাকে ধারণ করার জন্য দেবীর চেহারা বড় হওয়া উচিত। সেই কারণে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা এত বড় আকারের হয়।' চন্দননগরের লালবাগান পুজো কমিটির এক কর্তা বলেছেন, 'বড় আকারের প্রতিমার মর্যাদাই আলাদা। এতে দর্শকদের ঠাকুর দেখার আকর্ষণ বাড়ে। আমাদের শোভাযাত্রার সময়ও দেখেছি দর্শনার্থীদের আবেগ বড় প্রতিমা দেখলে কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রতিমার উচ্চতা বেশি হওয়ায় ভাড়া বেঁধে প্রতিমা বানাতে হয়। এতবড় প্রতিমা লরিতে তুলতেই ৬০-৭০ জন লাগে।'
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-1-2025-10-27-22-19-52.jpg)
আগে এত উঁচু মূর্তি ছিল না
আগে কিন্তু, চন্দননগরে মূর্তির এত উচ্চতা ছিল না। পুজোগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির হাতে চলে যাওয়ার পরই পুজোর ব্যবস্থাপনায় আসে পরিবর্তন। ১৯ শতকের শেষের দিকে এরপর বারোয়ারি কমিটির হাতে চলে যায় পুজো। এইসময় বারোয়ারি কমিটিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় কে কত উঁচু প্রতিমা বানাতে পারে। উপনিবেশ থাকাকালীন ফরাসিরা সেই সব ঠাকুর দেখতে গিয়ে টুপি খুলতে বাধ্য হতেন। তাঁরা জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের নামই দিয়ে দিয়েছিলেন, 'টুপি খোলা ঠাকুর'। প্রতিমার সেই উচ্চতার ধারা ধরে রেখেছে চন্দননগর।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-3-2025-10-27-22-22-29.jpg)
কে এই জগদ্ধাত্রী
চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির এক কর্তা জানিয়েছেন, জগদ্ধাত্রী হলেন দেবী দুর্গারা আরেক রূপ। দেবী দুর্গা মহিষাসুরমর্দ্দিনী রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। সেই সময় মহিষাসুর মহিষ রূপ ধারণ করেছিল। তখন দেবী দুর্গা রূপে ১০ হাতে ১০ অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু, মহিষাসুর যখন হাতির রূপ ধারণ করেছিল, দেবী তখন চার হাতে সিংহবাহিনী হয়ে সেই হাতি রূপকে বধ করেছিলেন। সেই রূপের নাম হল জগদ্ধাত্রী।' অন্যমতে, ত্রেতা যুগের শুরুতে করীন্দ্রাসুর নামে অসুরকে বধের জন্য দেবী জগদ্ধাত্রীর আবির্ভাব হয়েছিল। এই করী হল হাতির অপর নাম। হাতিরূপী ওই অসুরকে বধের জন্য ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শক্তি থেকে সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা এই দেবীর আবির্ভাব। দেবী জগদ্ধাত্রীর চার হাতের ওপরের দু’টোয় রয়েছে চক্র ও শঙ্খ। এবং নীচের হাতে ধনুক এবং পঞ্চবাণ!
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-4-2025-10-27-22-24-30.jpg)
ভিন্নমতে জগদ্ধাত্রীর উৎপত্তি
আবার অন্য আরেকটি মতে, মহিষাসুর বধের পর দেবতারা গর্বিত হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরা মনে করেছিলেন, মহিষাসুর বধের কৃতিত্ব তাঁদেরই। দেবী দুর্গা তাঁদের সম্মিলিত শক্তিই প্রকাশ করেছেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। দেবতাদের এই গর্ব চূর্ণ করতে এরপর দেবী মহামায়া তাঁর জগদ্ধাত্রী রূপ ধারণ করেছিলেন। তিনি দেবতাদের অহংকার চূর্ণ করতে ও তাঁদের শক্তি পরীক্ষা করতে একটি তৃণখণ্ড দেবতাদের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু বা বরুণ দেব সেই তৃণকে সরাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। অগ্নিদেব চেষ্টা করেও তৃণকে দগ্ধ করতে পারেননি। বায়ু তা একবারও ওড়াতে পারেননি। বরুণ দেব বৃষ্টি নামিয়ে ওই তৃণখণ্ডকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এ দেখে দেবী ওই দেবতাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, যাঁরা তৃণখণ্ড সরাতে পারেন না, তাঁরা কী করে মহিষাসুরকে বধ করবেন? দেবতারা এরপরই দেবী জগদ্ধাত্রীর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-5-2025-10-27-22-25-45.jpg)
কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিই দুর্গানবমী
কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিই জগদ্ধাত্রী পূজার মূল। একদিনেই দেবীর তিন তিথি অর্থাৎ, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পুজো হয়। একে দুর্গানবমীও বলা হয়। অর্থাৎ, জগদ্ধাত্রী পুজো হয় দুর্গানবমীতে। এই ব্যাপারে শাস্ত্রে বলা আছে, 'কার্তিকে শুক্লপক্ষে চ ইয়া দুর্গানবমী তিথি। সা প্রশস্তা মহাদেব, মহাদুর্গা প্রভূতনে।।' মহাদুর্গাকে আরাধনা করতে হলে দুর্গানবমী তিথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশ্বিনের দুর্গাপূজার ঠিক একমাস পরে হয় জগদ্ধাত্রী পূজা। এই পূজার ষষ্ঠীতিথিতে অবাঙালি উত্তর ভারতীয় হিন্দুরা দেবী কাত্যায়নী বা ছটি মাইয়ার পূজা করেন। নবদুর্গার রূপ বর্ণনায় বলা রয়েছে, 'ষষ্ঠং কাত্যায়নী তথা।' অর্থাৎ, ষষ্ঠ রূপে ছয় নম্বর রূপে দেবী দুর্গা হলেন কাত্যায়নী। চণ্ডী অনুযায়ীও কাত্যায়নী কল্পেই দুর্গা আরাধনার রীতি প্রচলিত।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-6-2025-10-27-22-27-15.jpg)
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আকর্ষণ তার আলোকসজ্জা
বিরাট আকারের প্রতিমা, ডাকের সাজ আর কয়েক শতাব্দীর ঐতিহ্য- যাই থাকুক না কেন, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার মূল আকর্ষণ তার আলোকসজ্জা। যা এক বড় শিল্পে পরিণত হয়েছে। ফরাসি জমানায় চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে শোভাযাত্রায় থাকত গ্যাস লাইট, হ্যাচাক ও ডে লাইট (petromax)। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এরপর এসেছিল টিউবলাইটের জমানা। তবে, পুরোনো এই ফরাসি উপনিবেশে জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে টর্চের টুনি অর্থাৎ ৬.২ টুনি বাল্বের কারণে। আমেরিকা লন্ডন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রশংসিত হয়েছে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। আলোকশিল্পী হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন শ্রীধর দাস, তারক শেঠ, বাবু পাল, অসীম দে-রা। বর্তমানে উন্নতমানের এলইডি আলোর যুগ। এখন একাধিক শিল্পী নতুন ধরনের এই আলোর জাদুতে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে সাজিয়ে তুলছেন।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-8-2025-10-27-22-28-19.jpg)
আলো যেখানে শিল্প
জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে চন্দননগর আলোর শিল্পস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানকার আলোকসজ্জার জন্য আগে সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু এঁকে নেওয়া হয়। এরপর সেই অনুযায়ী আলোকসজ্জা লোহা অথবা ফাইবারের কাঠামোর মধ্যে তোলা হয় ফুটিয়ে। তুলে ধরা হয়, থ্রিডি ও অ্যানিমেশনের মাধ্যমে। এজন্য বছরভর একযোগে কাজ করে পুজো কমিটিগুলো এবং শিল্পীরা। যার প্রতিফলন দেখা যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায়। চন্দননগরের পুজো কমিটিগুলোর মধ্যে বাগবাজার জগদ্ধাত্রী পুজোই প্রথম টুনি বাল্বের আলো দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করেছিল। হাওড়ার মহাকালী ইলেকট্রিক চন্দননগরের পুজোয় প্রথম টুনি বাল্বের আলো নিয়ে এসেছিল। যার মূল শিল্পী ছিলেন শ্রীধর দাস। নকশা করা বেতের কাঠামোর ওপরে আলো লাগিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল এই প্রাক্তন ফরাসি উপনিবেশে। যা বিখ্যাত হয়ে ওঠে। ভারতের বিভিন্ন শহর তো বটেই, রাশিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়াতেও তাঁর আলোর জাদু পৌঁছে দিয়েছেন শ্রীধর দাস।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-9-2025-10-27-22-29-08.jpg)
টুনি থেকে এলইডি
টুনি বাল্বের পর চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকশিল্পকে এলইডি লাইটের সঙ্গে পরিচয় করান শিল্পী অসীম দে। ১৯৮৮ সালে তিনি চন্দননগরের পুজোয় এলইডি লাইটের ব্যবহার শুরু করেন। তারই মধ্যে, শ্রীধর দাসের পরিবর্তে চুঁচুড়ার শিল্পী তারক পাল বাগবাজারের পুজোর আলোর দায়িত্ব নেন। সেই থেকে ক্রমশ টুনি বাল্বের বদলে এলইডি লাইটের চল বাড়ে। এই এলইডির মধ্যে আবার ক্যাপ তৈরি করে শিল্পী বাবু পাল চন্দননগরের পুজোর আলোয় অন্যমাত্রা যোগ করেন। বর্তমানে অবশ্য সেই যুগও অতীত। এখন বিভিন্ন রকমের এলইডি আলো বাজারে এসেছে। তাতেও আগের মতই আলোকসজ্জার ঐতিহ্য ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে চন্দননগর।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-10-2025-10-27-22-29-52.jpg)
নজর কাড়ার চেষ্টায়
এখানকার লেজার শো, থিম্যাটিক ডিজাইন বিখ্যাত। প্রতিটি পুজো কমিটি একে অপরকে টপকাতে চায়। কখনও পুরাণ, কখনও আধুনিক সমাজ, আবার কখনও দেশপ্রেম—সবকিছুই ফুটে ওঠে আলোর কারুকার্যে। কলকাতার দুর্গাপুজোর থিমের অনুকরণেও অনেক প্যান্ডেল তৈরি হয়। শোভাযাত্রায় আগে থাকত সং সাজ, পুতুলনাচ, ঐতিহ্যবাহী গান। এখন সেখানে স্থান পেয়েছে আধুনিক ট্যাবলো, পৌরাণিক কাহিনি এবং সামাজিক বার্তা। দেশি, বিদেশি পর্যটক থেকে বিশিষ্টদের উপস্থিতি চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে মুম্বইয়ের গণপতি বিসর্জনেরই অন্য এক রূপে যেন ঠাঁই দিয়েছে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/chandannagar-jagaddhatri-puja-2025-11-2025-10-27-22-30-47.jpg)
পুজো দেখতে হলে
এখানকার পুজোর অনুভূতি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হল নবমী ও দশমী রাত্রি। মানকুন্ড স্টেশন থেকে অনেক দর্শনার্থী শুরু করেন পথচলা। পথে দেখে নেন মানকুন্ডু স্পোর্টিং ক্লাব, নতুনপাড়া, চারাবাগান, লিচুতলা, তেঁতুলতলা ও জ্যোতির মোড়ের বিশাল প্রতিমা। তারপর চাউলপট্টি, কাপড়েপট্টি, ময়দাপট্টি (বর্তমান লক্ষ্মীগঞ্জ চৌমাথা), মুলোপট্টি (লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার), বাগবাজার, গোন্দলপাড়া, কুণ্ডুঘাট, শিবমন্দির, সাতঘাট অঞ্চলের প্রতিমা। বর্তমানে চন্দননগর শহরজুড়ে ১৪০টিরও বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/27/1-map-2025-10-27-22-31-47.jpg)
বাছাই করা প্রতিমা দেখতে হলে
আর, বাছাই করা প্রতিমা দেখতে হলে দেখুন- ১) মানকুণ্ডু স্পোর্টিং ক্লাব, ২) কানাইলাল পল্লি সর্বজনীন, ৩) নতুনপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো, ৪) নিয়োগী বাগান সর্বজনীন, ৫) বালক সংঘ, ৬) সার্কাস মাঠ সর্বজনীন, ৭) গোপালবাগের রাজবাড়ি, ৮) লিচুতলা সর্বজনীন, ৯) তেমাথা রানিমা, ১০) অম্বিকা সর্বজনীন, ১১) গন্ডলপাড়া মনসাতলা, ১২) গন্ডলপাড়া তিলিঘাট, ১৩) চারমন্দিরতলা সর্বজনীন, ১৪) বেসোহাটা সর্বজনীন, ১৫) দৈবাকপাড়া সর্বজনীন, ১৬) হাটখোলা মনসাতলা, ১৭) হাটখোলা ভুবনেশ্বরী, ১৮) রথের সড়ক, ১৯) হালদারপাড়া ষষ্ঠীতলা, ২০) বুড়িমা আদি হালদারপাড়া, ২১) লালবাগান সর্বজনীন, ২২) বড়বাজার সর্বজনীন, ২৩) বাগবাজার সর্বজনীন, ২৪) বাগবাজার চৌমাথা, ২৫) মধ্যাঞ্চল সর্বজনীনের পুজো। কলকাতা থেকে গেলে এভাবে মানকুণ্ডু রেল স্টেশন থেকে শুরু করুন। চন্দননগর রেল স্টেশন হয়ে ফিরুন।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us