বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হার্টের সমস্যা এবং ডিমেনশিয়া দুটোই খুব সাধারণ বিষয়। করোনা মহামারীর কারণে মানুষের মানসিক চাপ এবং সেই থেকেই হৃদরোগ দুটি কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত। তবে এই দুটিকেই কিন্তু নিজের আয়ত্বে রাখা সম্ভব বেশ কতগুলি অভ্যাস এবং নিয়ম মেনে চললে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মানুষের শরীরে বেশ কিছু সমস্যার সূত্রপাত হয় প্রাকৃতিকভাবে তবে তার সঙ্গেই আনুসঙ্গিক সমস্যার সূত্রপাত হয় বদ অভ্যাসের কারণে। সেগুলিকে ঠিক করা আবশ্যিক! ডিমেনশিয়ার সঙ্গে কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার সঙ্গেই ব্লাড সুগার ইত্যাদির সমস্যা কিন্তু বাড়তে পারে। এই রোগের কারণে, রক্ত কোষগুলি তুমুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সঙ্গেই রক্ত তথা অক্সিজেনের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায়! বলা উচিত মস্তিষ্কে সঠিকভাবে পৌঁছায় না।
সঠিক পরিমাণে রক্ত সরবরাহ না হলে, মস্তিষ্কের কোষগুলি কাজ করতে পারে না। এর কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই অবধারিত বেশ কিছু অভ্যাসে বদল আনলে এর থেকে রেহাই মিলবে! সেগুলি কীরকম হওয়া উচিত?
সপ্তাহে দুই তিন বার তেলযুক্ত মাছ অবশ্যই খাওয়া উচিত। স্যামন - সার্ডিন এবং ম্যাকারেল এই জাতীয় মাছগুলি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত। এবং শরীরের পক্ষে সেটি বেশ কার্যকরী! ওমেগা থ্রি অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরী সম্পন্ন, এর থেকে দারুণ ভাবে মানসিক এবং হার্টের সমস্যা দূর করা সম্ভব!
সবধরনের খাবারের সঙ্গে অন্তর এক প্লেট, সবজি জাতীয় খাবার খওয়া খুব দরকার। অলিভ ওয়েল, ব্লুবেরি, বাদাম, ভিটামিন, মিনারেলস, ভিটামিন সি ও ই তথা পলিফেনলস, ফ্লাবনয়েডস এগুলি থাকা খুব জরুরি। এতে রক্ত কোষগুলি যথেষ্ট পরিমাণে সজাগ থাকতে পারে এবং ভালভাবে সঞ্চালিত হয়।
খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, রিফাইন কার্বোহাইড্রেট, রেড মিট খাওয়া সবসময় ঠিক নয়। এতে শরীরের প্রদাহ অতিরিক্ত হারে বেড়ে গেলে হাইপারটেনশন, টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার মত রোগ দেখা যেতে পারে। এগুলি হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই সাবধান। প্রসেসড ফুড খাওয়া খুব একটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়।
শরীরচর্চা এবং ব্যায়াম করা খুব দরকার। শরীরে সঠিক মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থেকে। রক্ত প্রবাহ সঠিকভাবে হয়। ব্রেইন জাতীয় সমস্যায় মগজাস্ত্রও সাথ দেয়, বুদ্ধি বাড়ে। ডিমেনশিয়ার মাত্রা কমে।
কমাতে হবে ধূমপান এবং মদ্যপান। যারা বেশি ধূমপান করেন তাদের মধ্যেই ডিমেনশিয়া বেশি দেখা যায়। এর থেকে ইনফ্লেমেষণ বাড়তে থাকে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে থাকে ফলেই হার্টের সমস্যা দেখা যায়। রক্ত কোষের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তাই এগুলি অবিলম্বে বন্ধ করুন।
অভ্যাস বদলান, তাহলেই শরীর সুস্থ থাকবে।