কথায় বলে রাত্রিবেলা ঘুম খুব শান্তির হওয়া উচিত। কারণ সারাদিনের শক্তি কিন্তু রাত্রির ঘুম থেকেই সম্ভব। আর সঠিকভাবে রাত্রে না ঘুমালে মুশকিলে পড়বেন আপনিই। তাই আপনাকে নিজেকে কিন্তু বেশ সচেতন হতে হবে। এবং বলতে গেলে সচেতনতা অর্থাৎ অভ্যাস বদলানো। রাত বিরেতে অনেকেই জেগে থাকতে পছন্দ করেন - এটি কিন্তু বেশ সমস্যার।
এতে কিন্তু শুধু শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, এতে বাহ্যিক পরিবর্তন হতে পারে। যেমন অনেকেই রাত বিরেতে ঠিক করে ঘুমান না বলে স্কিনের সমস্যা, চুলের সমস্যা খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই যে বিষয়গুলি রাতের বেলা বদলানো দরকার তার মধ্যে,
অনেক রাত করে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ এটি কারওর কাছেই অজানা নয় যে ক্যাফেইন মানুষকে শারীরিকভাবে চাঙ্গা রাখে। তাই এটি মস্তিষ্ককে শান্ত হতে দেয় না। সুতরাং যেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে রাত হলেই কফি খাওয়া চলবে না। শুধু কফিই নয়, অ্যালকোহল আরও খারাপ।
পরেরদিন আপনাকে সমান তালে কাজ করতে হবে! তাই, বেশি রাত করে হুল্লোড় কিংবা সিরিজ দেখা আপনার পক্ষে ভাল নাও হতে পারে। তাই রাত বিরেতে শুধুই জেগে কাটাবেন না। এটি অভ্যাসে পরিবর্তন হলে বেজায় মুশকিল। ডার্ক সার্কেল ছাড়াও হজমের সমস্যা, মাথা যন্ত্রণা খুব স্বাভাবিক বিষয়। এবং অবশ্যই আলো বন্ধ করে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার চালিয়ে সিরিজ দেখা কিন্তু খুব খারাপ।
রাত করে জেগে থাকলেই, খাবার দাবারের ইচ্ছে জাগে। আর এটি সবথেকে খাবার। রাতের বেলা অসময়ে খাবার খাওয়া থেকেই কিন্তু ওজন বৃদ্ধি, এমনকি মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকেই ব্লাড সুগার কিংবা ডায়াবেটিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
একেকদিন একেক সময়ে ঘুমাতে যান? তবে মনে রাখবেন এটি আপনার প্রেসারের সমস্যার অন্যতম কারণ। সময়ের হেরফেরে ঘুমালে সার্কেডিয়ান রিদম খুব হ্যাম্পার করে এতে বডি রিকলের সমস্যা খুব বাড়তে থাকে। বিশেষ করেই গ্যাস, হজমের গোলমাল হতেই পারে।
দাঁত রাত্রিবেলা ব্রাশ না করা খুব খারাপ একটি বিষয়। তাই এই অভ্যাসটি যদি না থাকে তবে করতেই হবে। কারণ দাঁত ভাল রাখা খুব দরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন