বেশিরভাগ গবেষণায় ওজন হ্রাস করার বিভিন্ন উপায় নিশ্চিত করা হয়েছে। উচ্চ মানের শরীর চর্চা থেকে উপবাস এবং খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ, অনেক কিছুই রয়েছে ওজন কমানোর পন্থা হিসাবে। কিন্তু নতুন গবেষণা বলেছে সাধারণত, যে নিয়ম বেঁধে ধারাবাহিকভাবে আমরা খাবার খেয়ে থাকি সেই রীতিনীতির অদল বদল করার প্রয়োজন। নতুন গবেষণায় মূলত খাদ্যের অর্ডারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্যুসন ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা (ইউএ)-এর গবেষকরা তাঁদের পরীক্ষার একটি সিরিজ পরিচালনা করছেন, যার ফলাফল সম্প্রতি তাঁর প্রারম্ভিকভাবে ‘জার্নাল অফ এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি’-তে প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার জন্য চারটি পরীক্ষা চালিয়েছেন। কিন্তু মূলত খেয়াল রেখেছেন, “যে পদ খাওয়ার শেষে খাওয়া হয় তা যদি অন্য সময় খাওয়া যায় তাহলে শরীরে কী প্রভাব পড়বে?” বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় প্রথম পরীক্ষা এবং খাদ্য ডেলিভারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পরের তিনটি পরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। যাঁরা খাবারের শুরুতে স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর ডেজার্ট বেছে নিয়েছেন এবং যাঁরা নিয়ম মেনেই খাবারের শেষেই ডেজার্ট খেয়েছেন, এমন কিছু অংশগ্রহণকারীদের নিয়েই করা হয় গবেষণা।
পরীক্ষার পরে জানা যায়, যাঁরা অসংযতভাবে ডেজার্ট বেছেছেন, সঙ্গে অপেক্ষাকৃত কম অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন, তাঁদের শরীরে কম ক্যালোরি প্রবেশ করেছে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে যাঁরা খাওয়ার শুরুতে স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট বেছে নিয়েছেন, তাঁদের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি উচ্চ ক্যালোরি গ্রহণ করেছেন খাবারের পরে ডেজার্ট খাওয়া মানুষজন।
আরও পড়ুন: রাতে ভালো ঘুম হলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
ইউএ এ মার্কেটিংয়ের সহকারী অধ্যাপক মার্টিন রেইম্যান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যারা মেইন কোর্স খাওয়ার আগে ডেজার্ট খেয়ে নেন, তাঁদের শরীরে ডেজার্টের উচ্চ ক্যালোরি সেভাবে কোনো প্রভাব ফেলে না।”
মেডিকেল নিউজ অনুযায়ী, ডাক্তার বা গবেষকদের মতে, “বিভিন্ন ধরণের খাদ্য এবং খাদ্য উপস্থাপনা একে অপরের ওপর প্রভাব ফেলে।” তাই প্রথমত জেনে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কোন খাবারে কী পরিমাণ ক্যালোরি রয়েছে।
Read the full story in English