চুইংগাম কমবেশি সকলেই একটু আধটু এটিকে চিবিয়েই থাকেন। কেউ মানসিক বিদ্ধস্ত থাকলে আবার কেউ অভ্যাস বশত, অনেকে আবার বিশাল ভাবে অ্যাডিক্টেড চুইংগামের দ্বারা, একেবারেই থাকতে পারেন না। অনেকেই এটির খারাপ দিক উল্লেখ করবেন তবে ভাল কিছু দিক কিন্তু এর রয়েছে - ধারণা দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ টিম গ্রে।
Advertisment
তার বক্তব্য, অনেক চুইংগাম প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়, সেগুলি মানুষের পক্ষে খারাপ। তাই যারা এটি ছাড়া একদমই থাকতে পারেন না, তাদের বেশ কিছু জিনিষ জানা প্রয়োজন। চুইংগাম সবসময় প্লাস্টিক ইবিং পলিথিন টক্সিন ফ্রি এগুলোই খাওয়া উচিত। বিশেষ করে Xylotil যুক্ত গাম বেশি ভাল। এগুলি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সঙ্গেই অ্যান্টি ফাঙ্গল এগুলি মাইক্রবায়ম কে জাগিয়ে রাখে সঙ্গেই মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে।
শুধু তাই নয়, গাম বেশিক্ষণ না চেবানই ভাল। তবে অল্প সময়ের জন্য চেবালে মুখের পেশীগুলো সক্রিয় থাকে এবং বলা উচিত, জ-লাইন শার্প হয়। গামের যেমন বিভেদ রয়েছে তেমনি বিভেদ রয়েছে এর প্রভাবেও। যদি মিন্ট ফ্লেবার হয়, তবে এটি cognitive Booster হিসেবে কাজ করে। মানুষকে ফোকাস করতে সাহায্য করে, স্নায়ুর কর্মক্ষমতা বাড়ায়, রিলাক্স থাকতে সাহায্য করে। অনেকক্ষণ সময় ধরে চেবালে লালারসে গ্যাস্ট্রিক উপাদেয় বেশি থাকে, এটি খাবার হজম করতে বেশ সাহায্য করে।
তবে এগুলি ছাড়াও আরও যে কাজগুলি করে চুইংগাম তার মধ্যে ;
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। মানুষ অনেক্ষণ কাজ করার শক্তি এবং মানসিক সঞ্চালনা পায়। দক্ষতা বাড়ে সঙ্গেই চেতনা বাস্তবায়ন হতে থাকে।
অত্যন্ত স্ট্রেস লাগছে, তাহলে এটি আপনার পক্ষে আদর্শ প্রমাণিত হতে পারে। মাথা ঠাণ্ডা করতে বেশি কাজ করে। স্নায়ুতন্ত্রকে সজাগ রাখতে বেশ ভাল কাজ করে।
GI function উন্নত করে। অনেকেই কাজে মন বসাতে পারে যেটি একটি ভাল উদ্যোগ।
ওরাল হেলথ ভাল রাখে। দাঁতের যত্ন নিতে পারে অনেকসময় মাউথ ওয়াশ হিসেবে কাজ করে। জার্ম মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
শরীরে জলের চাহিদা অনেক মেটায়। যারা ঘনঘন জল খান তাদের পক্ষে এটি বেশ ভাল।