Advertisment

চিকেন পক্স সম্পর্কিত সবরকম তথ্য জেনে নিন

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, নিজে থেকে কিছু করবেন না

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

সকাল বেলা গুগল খুলেই গুগল ডুডল দেখতে ঠিক অন্যরকম না? একজন চিকিৎসক সারিয়ে তুলছে এক ছোট বাচ্চাকে, যে কিনা চিকেন পক্সে ভুগছে। বর্তমান আবহাওয়া যা বলছে একেবারেই বসন্তের হাওয়া, এইসময় চিকেন পক্স খুব স্বাভাবিক একটি রোগ, তবে যন্ত্রণা দায়ক। এবং আজ সেই বিখ্যাত মানুষের জন্মদিন যিনি প্রথমবারের মতো চিকেন পক্সের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন, তিনি চিকিৎসক মিচিয়াকি তাকাহাশি। তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতেই গুগলের আজকের নিবেদন এই স্পেশ্যাল ডুডল। 

Advertisment

চিকেন পক্স এর ভয়াবহতা আগের থেকে অনেক কমেছে। এখনও এই রোগ হলে দারুণ নিয়ম মেনেই থাকতে হয়। খাবার দাবারে অনেক বদল আনতে হয়। আদতে একটি ইনফেকশন, জেনে নিন এটি সম্পর্কে। 

চিকেন পক্স আসলে কি? 

Mayo clinic এর মত অনুসারে চিকেন পক্স একটি ইনফেকশন যেটি 'varicella zoster virus' এর কারণে হতে পারে। যখন একজন মানুষ যিনি চিকেন পক্স দ্বারা আক্রান্ত হাঁচি অথবা কাশি দেন ঠিক তখনই বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সেই থেকেও আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন যাদের শরীরে এর আগে এই রোগ হয়নি এবং যারা টিকা নেননি তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। 

চিকিৎসক ভিক্রান্ত সিং বলছেন, সব বয়সের মানুষের মধ্যে এটি দেখতে পাওয়া যায়। লাল ফুসকুড়ির মত দেখতে হয় যেটি আদতেই চুলকানো অনুভূত হয়। এটিকে প্লেও মর্ফিক ফুসকুড়ি বলা হয়। সারা শরীরে হাত পা বাদ দিয়ে সর্বত্রই এই ফুসকুড়ি কিংবা পক্সের গোটা দেখতে পাবেন। অনেকের জ্বিভ, মারি কিংবা চুলের স্ক্যাল্পেও দেখা যায় এই সমস্যা। 

উপসর্গ কী কী দেখা যায়? 

সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার ৫/৭ দিনের মধ্যেই এটি নিজের রূপ নেয়। এই ফুসকুড়ি শরীরে স্থায়ী হয় কম করে ১১ থেকে ২১ দিনের মত। চিকিৎসক দিলীপ গুরে বলছেন, নিজেকে ঘরবন্দী করলেই এর থেকে অনেক সংক্রমণ কম করা সম্ভব। বিশেষ করে যখন ফুসকুড়ি শুকিয়ে যায় তখন, চামড়া ওঠা কালীন খুব সাবধানে রাখতে হয়। সেই চামড়া সংক্রমণ ঘটাতে পারে সহজেই। 

চিকিৎসা পদ্ধতি কি এই রোগের? 

বেশিরভাগ মানুষই জানেন এই ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম মানতে হবে। বিশেষ করে চুলকে না দেওয়া, তেল নুন ছাড়া খাবার খাওয়া এগুলি মানতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে একদম ছোটবেলায় অ্যান্টি ভাইরাল মেডিসিন হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। এই সময় শরীরে আদ্র ভাব বজায় রাখতে হবে। নিজে থেকে চিকিৎসা করা চলবে না। ভাইরাল রেপ্লিকেশন হিসেবে ওরাল ড্রাগস যেমন এসাইকেলোভির, ফামিসাইক্লোভির এগুলি প্রয়োজনীয়।

রোগ সম্পর্কিত ভয় কেমন থাকে? 

দেহ বিভেদে এর পার্থক্য দেখা যায়। বিশেষ করে যারা সবল শিশু তাদের মধ্যে এই জাতীয় রোগের প্রভাব কম দেখা যায়। যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এটি ছড়িয়ে পরে তবে গোটা দেহ তথা গলার ভেতর, চোখের মণি এসবের মধ্যেও দেখা যায় এটি। 

কীভাবে একে রোধ করতে পারা সম্ভব? 

চিকিৎসক শাহ বলছেন, সবথেকে ভাল উপায় এটি রোধ করার varicella vaccine প্রদান করা। যারা এটি গ্রহণ করেন তাদের এই রোগ হয়না কিংবা হলেও সেটি কম মাত্রায় হয়।

health chicken pox cause
Advertisment