শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও সাধারণ ভাষায় চিকেন স্কিন শব্দটা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকেই আছেন এই রোগটির সঙ্গে পরিচিত। আসলে একটি স্কিনের রোগ, যেকোনও মানুষের হতে পারে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, যারা অত্যধিক সেনসেটিভ স্কিনের মানুষ তাদের পক্ষে কিন্তু একটু হলেও মুশকিল।
প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক শর্মিতা। স্কিনের ওপর ছোট ছোট গর্তের মত লাল ছোপ কিংবা দাগ দেখে অনেকেই একে ছোটখাটো কোনও সমস্যা ভেবে বস থাকেন, তবে আসলে এটি চিকেন স্কিন হতেই পারে।
আর কি কি নামে একে ডাকা হয়?
বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, চিকিৎসার ভাষায় একে keratosis Pilaris বলা হয়। আবার চলতি কথায় একে Strawberry leg-ও বলা হয়।
শরীরের কোথায় কোথায় দেখা যায়?
পিঠে, হাতের পেছনের দিকে, কাঁধে, হাঁটু এবং থাইয়ে দেখা যেতে পারে। সাধারণত, কেরাটিন ফর্মুলেশনের কারণে এটির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কেরাটিন ঘামের মাত্রা বাড়িয়ে লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দেয়, যেই থেকে এটি আরও স্কিনের ওপর ছড়িয়ে পড়ে।
কেমন দেখতে হয়?
যাদের গায়ের চামড়া শ্যামবর্ণ, তাদের শরীরে কালো ছোপ দেখা যায়, কিছুটা জালের মত দেখতে হয়। যাদের গায়ের চামড়া একটু ফর্সা তাদের শরীরে লাল ভাব বেশি থাকে এবং স্কিন নিজের রং হারিয়ে ফেলে।
কাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি?
- যারা শুকনো ত্বকের মানুষ।
- যাদের শরীরে একজিমা রয়েছে।
- আটপিক স্কিন অ্যালার্জির মানুষরা।
- যাদের বংশোদ্ভুত এই সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন [ গরমে কিডনি স্টোন! কীভাবে মিলবে রেহাই? মেনে চলুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ]
কীভাবে ট্রিটমেন্ট করবেন?
- অবশ্যই কোনও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ অথবা স্কিনের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত সিরাম অথবা টোনার সপ্তাহে ৪ দিন লাগাতে হবে।
- সেরামিড যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- ল্যাকটিক অ্যাসিড যুক্ত বডি লোশন ব্যবহার করা ভাল, বিশেষ করে যারা ড্রাই স্কিনের মানুষ।
- অবশ্যই দিনের বেলা বাইরে থেকে বেরোলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- যাদের মাত্রায় কম হয় এই রোগ তাদের রেটিনয়েড রাখা ভাল।