Child Vaccination: ছোট থেকেই নিয়ম মেনে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি কিন্তু প্রত্যেক বাবা মাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই সবরকম টিকাকরণ ওদের জন্য দরকারি। বেশিরভাগ সময় শিশু জন্মের পর তাকে হেপাটাইটিস, বসন্ত, জাপানি এনকেফোলাইটিস ছাড়াও নানা ধরনের টিকা দেওয়ার কথা চিকিৎসকরা বলে থাকেন। এছাড়াও মাস বিভেদে বুস্টার থেকে ইনজেকশন ওদের শরীরের খাতিরে দেওয়া বাধ্যতামূলক।
শিশুদের শরীরকে সুস্থ রাখাই আসল কাজ। বিগত দুই বছরে মহামারীর কারণে ওদের শরীর সুস্থ রাখার নির্দেশ মিলেছে বহুবার। যেহেতু একদম ছোট শিশুদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তাই প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন যাতে সময় মত দেওয়া হয় সেই সম্পর্কেও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। করোনা টিকা ছাড়াও পোলিও, টিটেনাস, ডিপথেরিয়া জাতীয় রোগের টিকা খুবই প্রয়োজন।
ইউনিসেফের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে মাত্র ৬৫% শিশু একদম ছোট অবস্থায় সঠিক টিকা পায়। ভ্যাকসিন জীবন বাঁচাতে পারে। শিশুদের রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এবং তার থেকেও বড় কথা এই ভ্যাকসিনের পরিমাণ এখন বাজারে যথেষ্ট ভাল, তারপরেও কেন এই অবস্থা সেই নিয়েও রয়েছে সংকোচ। এতে শিশুদের শরীরে নানা ঝুঁকি দেখতে পাওয়া যায়। চিকিৎসক মীনা জে বলছেন, ছোটবেলায় মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষার একটি মাত্র উপায় সেটি হল শিশুদের সময় মত টিকা দেওয়া। ইতিহাসের পাতায় উল্লেখ রয়েছে টিকা কতটা গুরুত্বপুর্ন, এমনকি পোলিও এর মত বিপজ্জনক রোগ কমাতে পারে।
ছোটদের কোন টিকাগুলি অবশ্যই দেওয়া উচিত সেই সম্পর্কেও জানিয়েছেন তিনি :-
BCG ( Bacille Calmette Guerin ) এটি আসলে টিউবারকুলোসিস রোগের ভ্যাকসিন। এছাড়াও ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন এবং হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন হিসেবেও কাজ করে।
অন্যান্য ভ্যাকসিনের মধ্যে, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, রোটা ভাইরাস, পেরটাসিস, এগুলি গুরুত্বপূর্ন।
ছোটবেলায় টাইফয়েডের টিকা এবং রুবেলা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। স্থানীয় এলাকায় জাপানি এনকেফলাইটিস, মেনিনজাইটিস এই জাতীয় রোগের টিকা দেওয়া হয়।
ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং জলাতঙ্কের মত রোগের টিকা দেওয়া হয় শিশুদের। মোটামুটি এই জাতীয় গুলি দেওয়া হলেই শিশুদের ক্ষেত্রে স্বস্তি।