/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/child.jpg)
প্রতীকী ছবি
ওমিক্রন এর শুরুতেই শিশুদের টিকাগ্রহন প্রক্রিয়া নিয়ে সরব সকলেই। চিকিৎসকদের মধ্যেও অনেকেই এই রব তুলেছেন যাতে বাচ্চাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া জলদি শুরু করা হয়! তবে এর মধ্যেও রয়েছে ভিন্ন মতামত। কীরকম? প্রচুর চিকিৎসকদের মতে এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই কোনও বাচ্চার।
কী মত পোষণ করছেন তারা?
ন্যাশনাল টেকনিকাল অ্যাডভাইজরী গ্রুপ অন ইমুনিজেশন এর সদস্য জয়প্রকাশ মুলিয়িল জানিয়েছিলেন বাচ্চাদের জন্য, এখনই কিন্তু ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই। এমনকি তাদের মধ্যে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। তৎপরতার সঙ্গে এই কাজ না হলেও চলবে। তিনি আরও বলেন বিগত দুই বছরে ১২ বছরের ছোট কোনও শিশুর মৃত্যু সম্পর্কে শোনা যায়নি। এমনকি মৃত্যুর মধ্যে যেসমস্ত শিশুরা লিউকোমিয়া, ক্যান্সার এবং অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন তাদের মধ্যেই পজিটিভ আসাতে সমস্যা দেখা দেয়।
অন্যান্য চিকিৎসকদের মতামত কী?
তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চারা আক্রান্ত হবে এই নিয়েই চারিদিকে আশঙ্কা। তারপরেও সচেতনতার লেশমাত্র নেই। বড়দিনের উৎসবে বড়োদের সঙ্গে বাচ্চাদেরও দেখা যায়। সেই থেকেই আক্রান্তের সুযোগ অবশ্যই থাকছে। বেশ কিছু চিকিৎসক যেমন ঘোরতর চিন্তায় তেমনই অনেকে মনে করছেন শিশুদের মধ্যে এমনই যথেষ্ট পরিমাণে ইমিউনিটি ঘাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় তাকে রো-বুষ্ট ইমিউনিটি বলা হয়ে থাকে।
যদিও এর প্রসঙ্গে কোনও সঠিক বর্ণনা এখনও পাওয়া যায়নি, তারপরেও দেখা যায় অনেক শিশু কিন্তু বিশ্বের দরবারে ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এবং একেবারেই ভাইরাসের প্রকোপকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তবে চিকিৎসকরা কেনই বা শিশুদের টিকাগ্রহনে স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন এই শিশু বিশেষজ্ঞদের মত বেশ ভিন্ন। যেমন?
তারা বলছেন বাচ্চাদের ইমিউনিটি যেমন স্ট্রং তেমনই ওদের বয়সের কারণে রক্ত কনিকাগুলির বিশুদ্ধকরণ তাড়াতাড়ি হয়। এবং এই কারণেই রোগের দেখা দিলেও সেটি খুবই স্বল্প মাত্রায় সম্ভব হবে। সেটিকে ওষুধ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে কমানো সম্ভব। বিশেষ করেই তারা জানিয়েছেন বাচ্চাদের শরীরে এমনিই অনেকরকম বুস্টার অথবা ইনজেকশন দেওয়ার চল রয়েছে সুতরাং সেই সাপেক্ষে দাঁড়িয়ে হয়ত বা ভ্যাকসিন দেওয়া না হলেও চলবে।
ভ্যাকসিন ছাড়া কীভাবে ওদের সুরক্ষিত রাখা সম্ভব?
অবশ্যই হার্ড ইমিউনিটি দ্বারা সম্ভব। পুষ্টিকর খাবার ছাড়াও বেশ কিছু সাপ্লিমেন্ট, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬, প্রোটিন রীতিমতো ফ্লুইড জাতীয় খাবার অবশ্যই খাওয়া দরকার। এছাড়াও বাহ্যিক প্রোটেকশন যেমন মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার তো থাকছেই! তাঁর পরেও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শিশুদের নাম নথিভুক্তকরণ কো উইনে। তিন তারিখ থেকেই শুরু হয়ে যাবে প্রিক্রিয়া।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন