বিশ্ব জুড়ে কচিকাঁচারা চনমনে নেই আর, বলছে সমীক্ষা

'অ্যাক্টিভ হেলদি কিডস গ্লোবাল অ্যালায়েন্স'-এর রিপোর্ট বলছে ডিজিটাল যাপন ক্রমশ বদলে দিচ্ছে শৈশবের সংজ্ঞা। সার্বিক জীবনযাপনে নগরায়ণের প্রভাব যত গাঢ় হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মনের এবং শরীরের স্বাস্থ্য। 

'অ্যাক্টিভ হেলদি কিডস গ্লোবাল অ্যালায়েন্স'-এর রিপোর্ট বলছে ডিজিটাল যাপন ক্রমশ বদলে দিচ্ছে শৈশবের সংজ্ঞা। সার্বিক জীবনযাপনে নগরায়ণের প্রভাব যত গাঢ় হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মনের এবং শরীরের স্বাস্থ্য। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল ছবি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

'ফুলগুলো সব গেল কোথায়?'

Advertisment

আহা! ফুল বললে বুঝি শুধু বাহারি রঙের সগন্ধ ছড়ানো ফুলই বোঝায়? মাঠ জুড়ে উথাল পাথাল করা, হেসে লুটিয়ে পড়া, কিমবা এক বুক সতেজতা বয়ে বেড়ানো খুদেগুলো তো ফুটে থাকা ফুলই। কিন্তু যত সময় এগোচ্ছে, ওরা কেমন হারিয়ে ফেলছে ওদের চনমনে মন, চাঙ্গা শরীর। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সারা দুনিয়া জুড়েই শিশুদের এই হাল।

'অ্যাক্টিভ হেলদি কিডস গ্লোবাল অ্যালায়েন্স'-এর রিপোর্ট বলছে ডিজিটাল যাপন ক্রমশ বদলে দিচ্ছে শৈশবের সংজ্ঞা। সার্বিক জীবনযাপনে নগরায়ণের প্রভাব যত গাঢ় হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মনের এবং শরীরের স্বাস্থ্য।

আরও পড়ুন, চাপ কমল শৈশবের, কেন্দ্রীয় নির্দেশে হালকা হল স্কুল ব্যাগ

Advertisment

ঘন সবুজ মাঠ নেই, পুকুর পাড় নেই, এমন কী ঘাসের অভাব পরোয়া করবে না, এমন বেপরোয়া মনটুকুও হারিয়ে যাচ্ছে। শুয়ে বসে মুঠোফোনের স্ক্রিনেই আটকে থাকছে গোধূলি-বিকেলগুলো। সমীক্ষার আয়োজক অস্ট্রেলিয় সংস্থার প্রেসিডেন্ট মার্ক ট্রেম্বলেও তেমনটাই মনে করছেন। "অলস শৈশবের প্রভাব পড়ছে কচিকাঁচাদের শরীরে এবং মনে। এর সঙ্গে যোগ রয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তন, বিশ্বায়ন, প্রযুক্তিগত বদল-এর মতো মতো বিষয়গুলোও"।

'ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি অ্যান্ড হেলথ' জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষার রিপোর্টে ৪৯ টি দেশের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী স্লোভেনিয়া, জিম্বাবোয়ে আর জাপানের শিশুরাই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে এখনও সবচেয়ে উচ্ছল।

 গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য না থাকলেও সমীক্ষার ফলাফল থেকে উঠে এসছে আরেক পর্যবেক্ষণ। প্রযুক্তির বিকাশে একেবারে সামনের সারিতে থাকা জাপানে কিন্তু অটুট রয়েছে শৈশব। তাহলে নিশ্চয়ই কেউ কাউকে বাধা না দিয়ে একই সমাজে হাতে হাত রেখে চলতে পারে দুই-ই।

Read the full story in English