হালখাতার হালহকিকত থেকে শুক্তো-পাবদায় হেঁসেলের পঞ্চব্যঞ্জন, নতুন জামার গন্ধ আর সোনার দোকানের উপচে পড়া ভিড়।সময়ের আমূল পরিবর্তনেও এতটুকু বদলায়নি পয়লা বৈশাখের এই ছবিটা, সাক্ষী জেন এক্স থেকে ওয়াই।
আর সেভাবেই পয়লা বৈশাখে বদল ঘটেনি নতুন জামাকাপড় পড়ে বাঙালি রেস্তোরাঁয় খাবারের হিড়িক। জাতির এহেন উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করতে মাঠে নেমে পড়েছে রেস্তোরাঁ চেইনগুলো। তালিকাটা বড়, কিন্তু এখানে আলোচনা দক্ষিণ কলকাতার এক রেস্তোরাঁ 'চিলেকোঠা'- কে নিয়ে।
রেস্তোরাঁর খাবার পরিবেশন হবে বাঙালি কায়দায়। ফোটো- চিলেকোঠা
পয়লা বৈশাখকে উপলক্ষ করে তারাও সাজিয়েছে বাঙালি খাবারের পসরা। দুপুরের খানাপিনাটা সেখানে সারার ইচ্ছে থাকলে প্রথমেই আপনার হাতে আসবে আমপোড়ার সরবৎ। তারপরেই সামনে আসবে 'বৈশাখী আহার' (লুচি,বাসন্তী পোলাও,বেগুন ভাজা,ছোলার ডাল, পোস্ত বড়া, ঝুরি আলুভাজা, ভেটকি কই,রুই মাছ মাখা, মটন কষা,চিকেন ঝোল,ইলিশ ভাপা, চাটনি, পাপড়, দই, মিষ্টি)। এই সবটাই পাবেন ৭৫০ টাকায়।
বৈশাখী 'সবজি বাহার'-এর তালিকায় রয়েছে লুচি, বাসন্তী পোলাও,বেগুন ভাজা,ছোলার ডাল, পোস্ত বড়া, ছানা মটরশুটির চপ, স্যালাড, এচোড়ের ডালনা, ছানার ডালনা। এই জিভে জল আনা মেনুটি পেতে পকেটের রেস্ত পড়বে ৪৪০ টাকা। তবে কেবলমাত্র খাওয়া-দাওয়া নয়, বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে রেস্তোরাঁতে। লাইভ গান শোনার ও দেখার সুযোগ পাবেন উপস্থিত খাদ্যরসিকরা।
'চিলেকোঠা'-র অন্দরমহল। ফোটো- চিলেকোঠা
উপরের দুটি ছাড়াও ১৪২৬ উদযাপনে চিলেকোঠা রেখেছে এক বিশেষ মেনু। তাতেও থাকবে বাঙালি খানার সম্ভার। 'বৈশাখী বাহারি আহার'-এর তালিকাটি এরকম-স্যালাড, চিকেন তেহরি বাংলা, টক ঝাল মিষ্টি চিংড়ি, চিকেন উইংস, ফিস ফ্রাই, ঢাকাই চিকেন রোস্ট, মটন ডাকবাংলো, ইলিশের পাতা পোড়া, মিষ্টি দই। পাঁচ শতাংশ জি এস টি আলাদা করে দিতে হবে। এই মেনুর মূল্য ৯৫০ টাকা। রবিবার আর সোমবার থাকবে এই খাবারের মেনু।