শীতকালে ব্যথা বেদনা সবসময় বাড়ে। একেতে বিভৎস ঠান্ডা তার সঙ্গেই আরষ্ঠ ভাব এবং মরশুমের প্রভাব। শরীরের নানান অঙ্গ কিন্তু একেবারেই বদ্ধ অবস্থায় থাকে। ফলেই যন্ত্রণা বাড়তে থাকে। এমনকি এই সময় কোথাও একটা ব্যথা পেলেও একটু বেশিই ব্যথা অনুভূত হয়। তবে এর থেকে সমাধান দরকার, নইলে বেজায় মুশকিল।
Advertisment
বিশেষজ্ঞ ডা: নিতীকা কোহলি বলছেন, শীতকাল মানেই ঠান্ডা হাওয়ার প্রবাহ এবং তার সঙ্গেই অত্যধিক যন্ত্রণা বৃদ্ধি। ফলেই হাত পা অসার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একে চালনা করতে গেলেই ব্যথা পাওয়া, কিছু সময় পর শুষ্ক অনুভূতি এগুলি খুব সাধারণ বিষয়। এবং সারাবছর এর মধ্যে এই সময়, ব্যথা অত্যধিক মাত্রা নিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব দরকার!
প্রথম, শরীরের তাপ এবং প্রদাহ বজায় রাখতে হবে। ঠান্ডায় বাড়িতে বসে থাকলেই চলবে না। হাঁটাচলা করতে হবে, জয়েন্টগুলোকে আরষ্ঠ ভাব থেকে দূরে করতে হবে। পেশী শক্ত করতে হবে।
দ্বিতীয়, শীতকালে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাও সেইদিকে নজর দিতে হবে। যত ওজন বাড়বে ততই কিন্তু মাসেলের ওপর বেশি চাপ পড়বে তাই সেদিকে সাবধান। ওজন আয়ত্বে রাখুন।
তৃতীয়, পেশী সংলগ্ন অংশগুলোতে গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে একেবারেই ভুলবেন না। কারণ নিজের খেয়াল রাখা খুবই দরকারি। সুতরাং এই বিষয়ে একটু আলোকপাত করতে হবে। প্রতিদিন তেল মালিশ করতে হবে।
চতুর্থ, যাদের সহ্য একেবারেই হয় না, শীতকালে ঠান্ডা জলে একদম স্নান করবেন না। গরম জলে স্নান করলে ব্যথা ভীষণভাবে দূরে হয়। তাই গরম জলে বাবল বাথ নেওয়া খুব কার্যকরী। সঙ্গে রিলাক্সেশন ভীষণ থাকে।
পঞ্চম, যদি বেশিই কষ্ট হয় তবে বাড়ির ভেতরেই অল্প সময়ের জন্য ব্যায়াম, প্রাণায়াম এগুলি করুন। তবে একটি হলেও পেশীতে সহজ লভ্যতা আসবে।
ষষ্ঠ, অতিরিক্ত ব্যথা এড়িয়ে যেতে কিন্তু গরম জামাকাপড় বিশেষ করে হাঁটু, কোমর, কান সংলগ্ন জায়গা ঢেকে রাখা জরুরি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন