চুমকির স্বাধীনতা বিশ্বের সামনে দেশের প্রতিনিধিত্বের স্বপ্নপূরণেই

আদ্যন্ত বাঙালী তিনি, অথচ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। তিনি চুমকি শর্মা। মিসেস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন ইউনাইটেড নেশনস প্যাজেন্টে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে তুলে ধরতে পেরেই চুমকির স্বপ্নপূরণ।

আদ্যন্ত বাঙালী তিনি, অথচ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। তিনি চুমকি শর্মা। মিসেস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন ইউনাইটেড নেশনস প্যাজেন্টে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে তুলে ধরতে পেরেই চুমকির স্বপ্নপূরণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মিসেস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন ইউনাইটেড নেশনস প্যাজেন্টে

স্বাধীনতা কী নিজের শর্তে পথ চলার নাম, স্বপ্ন উড়ান, নাকি কারো কাছে দেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার অভিপ্রায়? অনেকের কাছে দেশের সম্মান বাড়ানোর চেষ্টাটাই সব। তেমনি আদ্যন্ত বাঙালী তিনি, অথচ দেখে তা বোঝার উপায় নেই, চুমকি শর্মাকে। মিসেস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন ইউনাইটেড নেশনস প্যাজেন্টে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে তুলে ধরতে পেরেই চুমকির স্বপ্নপূরণ।

Advertisment

ইচ্ছেটা অনেকদিনের কিন্তু জার্নিটা শুরু হয়ে গিয়েছিল হঠাত করেই। পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী চুমকি। মিস ইন্ডিয়া মানসী চিল্লারের ভিডিও দেখছিলেন ইউটিউবে, সেখানেই দেখতে পান মিসেস ইন্ডিয়া বলেও একটা প্রতিযোগিতা হয়। ব্যস, সেই শুরু। নাম লিখিয়ে দিলেন চটজলদি। এরপর এল সেই দিন যেদিন তিনি ক্রাউন জিতলেন মিসেস ইন্ডিয়ার। তবে বিভাগটা ছিল সিঙ্গেল মাদার ক্যাটাগরি। মিস ইন্ডিয়া কুইন অব সাবস্ট্যান্স ২০১৮-র সম্মান।

publive-image ছবি চুমকি মিশ্রর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে।

রাস্তাটা চওড়া হল তারপরই। মিসেস ইন্ডিয়ার শীর্ষ প্রতিযোগীদের পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। সে তালিকায় রয়েছে চুমকির নাম। শুনেই আনন্দে আত্মহারা তিনি। উড়ে গিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের জামাইকাতে। জানালেন, ''ভাবতেই পারিনি আমার স্বপ্নপূরণ হবে। বিশ্বের কাছে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারব। এটাই তো চেয়েছি সারাজীবন। তবে পরিবার আর অফিসের সহকর্মীদের সাহায্য না পেলে কিছুই সম্ভব হত না।" ছেলে কি বলছে, জানতে চাইলে বললেন, "সবাইকে বলে বেড়চ্ছে। জানতামই না আমি। ওর স্কুলের টিচারদের শুভেচ্ছা বার্তা আসায় বুঝতে পারলাম''।

Advertisment

publive-image জেতার মূহুর্তে চুমকি। ছবি সৌজন্যে চুমকির ফেসবুক পেজ।

তবে জিতেও মাটিতেই পা আছে তাঁর। স্বাধীনতার মানেটা হাড়ে হাড়ে হারে টের পান যে। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়া ছেলেই তাঁর আনন্দের রসদ। শুধু এখানেই শেষ নয়, কবিতাও লেখেন এই বিস্ময় নারী। তাঁর লেখা কবিতার বইও পাওয়া যায় বিভিন্ন সাইটে। আজ স্বাধীনতা দিবসে তাই বলা চলে এ হল স্বাধীন মেয়ের শিখর ছুঁতে চাওয়ার উপ্যাখান।

Independence Day