গরম মানেই কিন্তু একটু ঠাণ্ডা জলের খোঁজ। এইসময় ফ্রিজের জল অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু সেটি কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? আয়ুর্বেদ বলছে মাটির পাত্রের জল শরীরের পক্ষে সত্যিই ভাল। যদিও এর বিশেষ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। আগে গরমকালে শহর থেকে গ্রাম বাংলার প্রতিটা ঘরেই নিয়ে আসা হত এই এই মাটির কুঁজো কিংবা জালা - যদিও বর্তমানে এর ব্যবহার অনেক কমেছে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ, নীতিকা কোহলি বলছেন এখন অনেকেই এসব বিশ্বাস করেন না কিংবা সময়ের অভাবে মাটির কলসি কিনে নিয়ে আসা অথবা তাতে জল পান করার কথা ভুলেই গেছেন যদিও বা এটি কিন্তু বেশ কার্যকরী শরীরের সুস্থতার ক্ষেত্রে। ফ্রিজের ঠান্ডা জল অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে, ঠিক তেমনই পিপাসাও মেটায় না। এদিকে এটি কিন্তু অবশ্যই সেই কাজে পারদর্শী।
এটি কিভাবে শরীরের উপকার করে?
মাটির কলসির জল শরীরের মেটাবোলিজম সঠিক রাখতে সাহায্য করে। কারণ মাটির পাত্রে একধরনের ইলেকট্রন থাকে যেটি সত্যিই উপকারী। এতে শরীরে মেটাবলিক রেট অবশ্যই বাড়তে থাকে।
প্রাকৃতিক ভাবে ঠান্ডা জল পাওয়া যায় এবং এই গরমে অবশ্যই সেটিই দরকার। এই জল শরীরের হাইড্রেসন বজায় রাখতে পারে। তাছাড়াও, শরীরকে সতেজতা প্রদান করে। কোনওরকম রাসায়নিক কিছুই এতে থাকে না।
সান স্ট্রোক কিংবা তীব্র রোদের হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এই মাটির পাত্রে অদ্ভুত এক ভূ মণ্ডলের সঙ্গে যোগ থাকে। যেই কারণে, এটি পান করলে শরীরের গরম অনেকটা কমে।
শরীরে টক্সিক কেমিক্যালের মাত্রা কমায়। লোহা, স্টিল কিংবা প্লাস্টিক জাতীয় পাত্রের থেকে নানা ধরনের দূষিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে পারে। এটির থেকে সেটি সম্ভব নয়। বরং এটি শরীরের অ্যাসিড দুর করতে সক্ষম।
গ্যাস্ট্রিক এবং অম্বলের সমস্যার জন্য এটি বেশ ভাল কাজ করে। বিশেষ করে যারা বয়স্ক মানুষ তাদের এই জল অবশ্যই পান করা উচিত। মাটির ক্ষুদ্র অণু পরমাণুগুলি শরীরের সমস্যার সমাধান করে।