ডাব এবং নারকেল বাঙালি হোক তথা ভারতবাসীর ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পুজো অর্চনা হোক কিংবা রান্নায়, এর ব্যবহার এক এবং অনন্য! মানবদেহে এখন সবথেকে বড় সমস্যা থাইরয়েড। মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মধ্যেই এর প্রভাব কিন্তু পড়ছে। এবং এর থেকে দেখা দিচ্ছে নানান সমস্যা। থাইরয়েড মানেই শরীরে আরও নতুন রোগের সূত্রপাত। তবে ডাব কিংবা নারকেল কিন্তু থাইরয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার এক এবং অদ্বিতীয় উপায় হতেই পারে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ডিকসা ভাবসার বলছেন, ডাব থাইরয়েডের জন্য ভাল কারণ এটিকে যেভাবে খুশি ব্যবহার করা যায়। এমনকি খাবারের ক্ষেত্রেও তাই, যেকোনও ভাবে এটিকে গ্রহণ করলেই চলবে, গুণ কিন্তু দারুণ কার্যকরী। যেমন :-
নারকেলের তেল : এটিতে রান্না করে হোক কিংবা শুধু শুধু খালি পেটে যদি সেবন করা যায় তবে দারুণ কাজ দেবে। বিশেষ করে হাইপারথাইরডিসম যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশ ভাল কাজ করতে পারে।তিনি বলছেন যখন পুষ্টি প্রদানের প্রশ্ন আসে তখন এটি তরল সোনার মত দামী, বিশেষ করে বলা যায় শারীরিক মেটাবোলিজম ঘাটতি পূরণ করে। শরীরের প্রদাহ মাত্রা সঠিক করে এবং ফ্যাট গলতে সাহায্য করে।
এটি লিভারকে সুস্থতা প্রদান করতে সক্ষম। সেই কারণেই থাইরয়েডের সমস্যা দূরে হতে পারে। কীভাবে? যেহেতু এটি হজম করা খুব সহজ তাই খেতে একেবারেই কোনও নুন কিংবা চিনি লাগে না ফলে এটি ভাল কাজ করতে পারে হজমের ক্ষেত্রে এবং সেই থেকেই থাইরয়েড কম করতে পারে।
নারকেলের জল : যদি এটি আপনার হাতের কাছে পাওয়া যায় কিংবা ঠান্ডা লাগার ধাত আপনার না থাকে তবে অবশ্যই এটি ভাল প্রমাণিত হতে পারে থাইরয়েডের জন্য। এটি গলায় আরাম দিতে পারে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। সপ্তাহে ২/৩ বার এটি খাওয়াই যায়।
নারকেলের দুধ : এটি বানানো একটু কষ্টকর। তবে সাধারণ দুধের সঙ্গে নারকেল বেঁটে নিয়ে মেশালেও কিন্তু এটিকে সেবন করলে থাইরয়েড গ্রন্থি সজাগ থাকে। একদম সকালে ঘুম থেকে উঠেই অথবা, রাত্রে ঘুমানোর আগে এটিকে খাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও থাইরয়েড থাকলে অনেকেরই মিষ্টি খাওয়ার খুব ইচ্ছে হয়। বিশেষ করে রাত বিরেতে সেটি চাগাড় দেয়। সুতরাং মাথায় রাখতে হবে নারকেলের সঙ্গে জাগেরি মিশিয়ে সুইট বল বানালে সেটি আপনার পক্ষে কার্যকরী হতেই পারে।