করোনা আবহে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাইরাল ফিভার জাতীয় রোগের সমস্যাও কিন্তু বেশ চাগাড় দিচ্ছে। রাইনোভাইরাস সহ ইনফ্লুয়েঞ্জা বছরের এই সময় আবহাওয়ার পারদ নামার সঙ্গে সঙ্গে দৈহিক তাপমাত্রা কমতে দেখা যায়। সর্দি কাশি এবং মাথা ভার এইসময় খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু কীভাবে নিজের যত্ন নিবেন? যেহেতু কোভিড এবং সাধারণ ফ্লু এর লক্ষণ থেকে উপসর্গ খানিকটা এক, তাই ভয় কিন্তু থেকেই যায় - প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন চিকিৎসক সঞ্জয় ভাটিয়া ( ENT SURGEON )
তিনি বলছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর ক্ষেত্রে দেখা যায়, নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি, গলা ব্যাথা, গা হাত পা ব্যথা, খিদে চলে যাওয়া সাধারণ লক্ষণের মধ্যে এগুলি। তবে যদি এমন কিছু পরিলক্ষিত হয় অবশ্য়ই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিংবা স্ট্যান্ডার্ড আরটিপিসিআর অবশ্যই টেস্ট করান। যদি টেস্টে পজিটিভ আসে তবে অবশ্যই সাধারণ জ্বর কিংবা ভাইরাল ফিভারের চিকিৎসা করা হবে।
চিকিৎসক বলছেন, সাধারণ জ্বর কিংবা ফ্লু এর সঙ্গে সম্পর্কিত রাইনো ভাইরাস আদতেই বেশ কমজোরী। শিশুরা বেশি আক্রান্ত হতে পারে, এবং বিশেষ করে এই ভাইরাস গুলি ওয়াটার ড্রপলট আকারে ছড়িয়ে পড়ে বলেই সমস্যা আরও বেশি।
সাধারণ উপসর্গ গুলি কী কী?
- নাকের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া এবং চুলকানি তথা অস্বস্তি
- বুকে জমা কফ এবং সেটি নাকের জলের সঙ্গে মিশে ইনফেকশন
- গলায় চুলকানি এবং অস্বস্তি
- চোখ দিয়ে জল পড়া এবং চুলকানি
- হালকা কাশি
- হালকা কাঁপুনি দেওয়া জ্বর
- গা হাত পা ব্যথা, সঙ্গেই মাথা ব্যাথা
কীভাবে এর থেকে রেহাই পাবেন?
- বিশ্রাম, এবং ফ্লুইড জাতীয় খাবার
- ভাল নিউট্রিশন অবশ্যই প্রয়োজন
- নাকের পথ খুলতে, এবং শ্বাস নিতে গেলে ভাল স্প্রে
- কাশি কমাতে ভাল সিরাপ
- অ্যান্টিবায়োটিক সবসময় খাবেন না, কাজে দেবে না
- ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে তাই পেট্রোলিয়াম জেলি
যে বিষয়গুলি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে?
- বেশি জোরে হাঁচি কাশি দেবেন না, এতে করে সমস্যা হতে পারে। আসেন্ডিং ইনফেকশন হতে পারে এর থেকে। সেই থেকে কানে ব্যথা এবং পর্দা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়।
- গলা ফুলে যেতে পারে, টনসিলে ইনফেকশন হতে পারে তাই সাবধান।
- নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কাইটিসের মত রোগের দিকে চালনা করতে পারে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
কীভাবে নিজের যত্ন নেবেন?
- বার বার হাত ধুতে হবে সাবান দিয়ে
- আঙ্গুল চোখে নাকে দেওয়া চলবে না
- যে টিস্যু দিয়ে হাঁচি কিংবা কাশি মুছছেন অবধারিত সেটিকে ফেলে দিন বা পুড়িয়ে দিন
- ভিড় জায়গায় না যাওয়াই ভাল, এড়িয়ে চলুন।