বেশিরভাগ মানুষ এখন বাইরে বেরতে চান না তার একটিই কারণ, অনেক সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে মাস্ক পরে থাকতে হবে। এ যেন এক তুমুল অস্বস্থি। কিন্তু উপায় একেবারেই নেই। যাইহোক তবুও জীবন থেমে নেই। মানুষ কিন্তু বেরোচ্ছেন, এবং একটি জায়গায় অনেকেই দুটি মাস্ক পড়ছেন। তবে স্কিনের সমস্যা যে হচ্ছে না সেটি কিন্তু একেবারেই নয়।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন মাস্ক পড়লে বেশ কিছুক্ষণ পর থেকেই ঠোঁট এবং তার চারপাশের সংলগ্ন অঞ্চলে বেশ জ্বলুনি অনুভূত হয়। এবং ধীরে ধীরে এটি এতই বাড়তে থাকে সারাদিনের শেষে লাল ছোপ ছোপ ব্রণ অথবা অ্যালার্জির মত সৃষ্টি হয়। সেটি কিন্তু আপনাকে কষ্ট দিতে পারে। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, আমাদের মুখের চামড়া বেশ নরম। কোনও ধরনের কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকলে তা স্বল্প পরিমাণে ঘষা লাগলেও বিক্রিয়া ঘটতেই পারে। আর ক্রমশই মাস্ক অর্থাৎ কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকলেও, হাওয়া না লাগার কারণেই ঘাম জমে জমে সেই সমস্যার সৃষ্টি করে।
বলে নাকি সারা দেহের তুলনায় প্রতি মানুষের মুখেই তৈলাক্ত ভাব বেশি থাকে। ত্বকের তৈল গ্রন্থি এবং নির্জীব কোষ থেকে বেরোনো জল কণিকার দ্বারাই কিন্তু বিক্রিয়া ঘটে মাস্ক অ্যাকনের দ্বারা সমস্যা ঘটাতে পারে। এর থেকে ব্যথা হতে পারে এবং চুলকানি অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গেই এর পরিসর আরও বাড়তে থাকে। এগুলি ছাড়াও বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে বেশ সমস্যা হয়। মাঝে মধ্যেই দম আটকে আসার মত অনুভূত হয়। এর স্ট্র্যাপ কানের এক পাশে ক্রমাগতই আটকে থাকার ফলে ব্যাথা হতে পারে। তবে এর থেকে বাঁচার উপায়?
১. সঙ্গে অবশ্যই শুকনো টিস্যু রাখবেন এবং টোনার। মাঝে মাঝেই মাস্ক খুলে নিয়ে টোনার দিয়ে ঠোঁটের কাছাকাছি অংশগুলি পরিষ্কার করে নিন। শুকোতে দিন।
২. সঠিক ph সমন্বিত একটি ক্লিনজার অবশ্যই ব্যবহার করা ভাল। সঙ্গে ড্রাই ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই রাখবেন।
৩. প্রতিদিন রাত্রে বরফের একটি টুকরো দিয়ে ঠোঁটের আশেপাশে বোলানো উচিত। এতে এর তৈলাক্ত ভাব কমে। সকালে উঠে অল্প করে শসা দিয়ে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করুন।
৪. গোলাপ জল এর সঙ্গে মিন্ট জল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। দেখবেন যেন ঘাম বেশি না জমে।
৫. নিজের ত্বকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মাস্ক ব্যবহার করুন। কটন কাপড় হলে সবথেকে ভাল। আর প্রতিদিন মাস্ক ব্যবহার করার পর একে স্যাভলন মিশিয়ে ধুয়ে নিন। সার্জিক্যাল মাস্ক হলে ফেলে দেবেন, দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা উচিত নয়।
৬. বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকবেন না! অন্তত ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে একে নামিয়ে নিন। বারবার ঠান্ডা জল দিয়ে ধুন। মুক্ত হাওয়ায় রাখুন।
৭. ধূমপান এইসময় বন্ধ রাখলেই ভাল। সিগারেটের গন্ধ এবং ধোয়া ত্বকের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। ছেলেদের উদ্দেশে ফিটকিরি ব্যবহার করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন