শীতকালে কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু নানা ধরনের সবজির সম্ভার। শীত মানেই পেটেন্ট কী বলুন তো? যেকোনও রান্না থেকে স্যালাড তাতেই ধনেপাতা। অল্প এটি যুক্ত করলেই নাকি টেস্টই বদলে যায়! তবে পাতার কিন্তু গুণ শুধুই টেস্ট বাড়ানো নয়। এটি নাকি নানানভাবে শরীরের খাতে কাজ করে।
ধনেপাতার গুণ জানলে অবাক হবেন। প্রথমেই তো এটি ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন এ বি এবং কে সমৃদ্ধ। তার মানে এর কার্যকারিতা ঠিক কতটা সেটির আন্দাজ নিশ্চয়ই পেয়ে গেছেন। এটি নানানভাবে শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়। চট করে সেগুলো দেখে নিই।
প্রথমত, হার্টের রোগ কম করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের সোডিয়ামকে এতই কার্যকরী করে তোলে যে এটির কারণেই রক্ত প্রবাহ সঠিক মাত্রায় হতে পারে। এবং হাই প্রেসারের নিষ্পত্তি ঘটাতে পারে। সঙ্গেই কোলেস্টেরল এবং এল ডি এল এর মাত্রা কমিয়ে হার্টের রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সেই কারণেই দেহের অতিরিক্ত প্রদাহ কম করতে সক্ষম। শারীরিক কোষগুলিকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে পারে এবং সেই থেকেই শরীর ভাল হতে পারে।
তৃতীয় হল, ব্রেনের অসুখ বিশেষ করে আলজইমার এবং বিভ্রান্তিমূলক রোগের ক্ষেত্রে এটি নানানভাবে কাজে দেয়। ব্রেনকে তৎপর রাখতে এটি বেশ ভাল, উদ্বেগ কম করে এবং নার্ভ সেলকে ড্যামেজ হতে রক্ষা করে।
চতুর্থত, ধনেপাতায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুলির সঙ্গে টেরপিয়েন, কোয়ার্সটিন এগুলি বিদ্যমান। এবং এরা প্রত্যেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিতান্তই কার্যকরী।
পঞ্চমত, এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও কঞ্জনক্টিভাইতিস এর প্রকোপ থেকে চোখকে রক্ষা করে।
শেষ হল, এতে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল পদার্থ থাকার কারণে এটি নিদারুণ ভাবে ইনফেকশনের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। ফুড পয়জিনিং থেকে বমি ভাব সব কিছুতেই দারুন কাজ দেয় ধনেপাতা জল।
তাহলে আজ থেকে এটি আপনার দরকার হলে কাজে লাগবে কিন্তু!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন