coronavirus pandemic end prediction: এখন সারা বিশ্বের একটাই প্রশ্ন এই করোনা অতিমারি কবে শেষ হবে। গত দেড় বছরে বিশ্ব যে কেবল শারীরিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নয়, ইমোশনাল ক্ষতিও প্রবল। তবে এবার সম্ভাব্য উত্তরগুলি খুঁজতে জ্যোতিষীদের শরণাপন্ন হয়েছেন অনেকেই। কী জানিয়েছেন তাঁরা?
বিশিষ্ট জ্যোতিষী বেজন দারুওয়ালা - যিনি ২৯ মে, ২০২০ সালে মারা গিয়েছেন তিনি বলেছিলেন যে ২০২১ সালের মে মাসে অতিমারিটি শেষ হবে। ২০২০ সালের এপ্রিলে দারুওয়ালা একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যাতে তিনি করোনাভাইরাস অতিমারির প্রেক্ষিতে বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।এই রোগটি গণেশের আশীর্বাদের সঙ্গে নির্মূল হবে এমন আশা করা হচ্ছে"।
জ্যোতিষশাস্ত্রকে বরাবরই একটি "সংজ্ঞাবাদী" বিজ্ঞানের চেয়ে "সম্ভাব্যবাদী" আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশিষ্ট জ্যোতিষ নরসিমহা রাও বলেন, ১৫ মে থেকে ২৪ মে ধীরে ধীরে করোয়ান গ্রাফ কম্বে। ২৪ জুনের মধ্যে পরিস্থিতি বেশ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে"। তবে তিনি এও বলেন যে, "দুর্ভাগ্যক্রমে, ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০২২ এ ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও একটি তরঙ্গ (বা সম্ভবত অন্য কোনও রোগের প্রাদুর্ভাব) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ২০২১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ অবধি কোভিড বিধি মেনে চলা ভাল।
আরও পড়ুন, রোজগার বাড়বে ধনুর, মকরের বদনাম! পড়ুন রাশিফল
বাস্তু আচার্য মনোজ শ্রীবাস্তব অনুসারে, কয়েক হাজার বছর আগে ভারতে যখন জ্যোতিষশাস্ত্রের বিধিগুলি লেখা হয়েছিল তখন করোনভাইরাস অস্তিত্ব ছিল না। তবে তিনি বলেন, "প্লুটো, রাহু এবং বৃহস্পতি - গ্রহগুলি ভাইরাসের আচরণ বদলে দিচ্ছে। রাহু বৃষ রাশিতে প্রবেশ করেছে ফলে পরিস্থিতি আগামীদিনে সঙ্কটজনক হতে পারে।"
এও বলা হয়েছে যে রাহুর প্রভাব অক্ষুণ্ণ থাকবে তাই প্রচুর আর্থিক সমস্যা হবে। মানুষের উপার্জনের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। শ্রীবাস্তব বলেছিলেন যে বৃহস্পতি গত বছর মকর রাশিতে থাকার জন্য দুর্বল ছিল পরিস্থিতি। কিন্তু ৬ এপ্রিল তা কুম্ভের মধ্যে প্রবেশ করেছিল তখন শ্বাসকষ্টের অনেক সমস্যা এবং অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়েছিল দেশে। সেপ্টেম্বর মাসে বৃহস্পতি আবার ফিরবেএকই অবস্থানে। ফলে মড়ক লাগতে পারে ফের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন