কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, সার্জিকাল মাস্ক আর স্যানিটাইজার এই দুটি জিনিসের আকাল এখন বিশ্বজুড়ে। কারণ অবশ্যই করোনাতঙ্ক। তবে শুধু যে এই দু'টি জিনিসেরই সংকট বাজারে, তা কিন্তু নয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও বেশ কিছু পণ্য সংকট দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে একেবারে প্রথম সারির হল টয়লেট পেপার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো দেশে সরকারি নির্দেশে যত খুশি টয়লেট পেপার কেনার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আবার দোকানে আলাদা করে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হচ্ছে, যারা কিনা খেয়াল রাখবেন কেউ প্রয়োজনাতিরিক্ত টয়লেট পেপার কিনছেন কিনা।
কেন নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে টয়লেট পেপার?
টয়লেট পেপার এমন একটা জিনিস, যা কোনোরকম জরুরি অবস্থাতেই আউট অব স্টক হয়য়ার কথা নয় এমনিতে। মানুষ অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে এত বেশি টয়লেট পেপার বাড়িতে মজুত রাখতে চাইছে, যার ফলে বাজারে তার সংকট দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে কোথাও করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। অর্থাৎ করোনা নিয়ে এখনও বেশ রহস্য ঘনিয়ে রয়েছে মানুষের কাছে। সমস্ত জায়গায় বলা হচ্ছে বারবার স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুলে, এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুলেই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। তার ফলেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ বাড়িতে বাড়তি টয়লেট পেপার মজুত রাখতে চাইছে ভবিশ্যতের কথা ভেবে।
দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই প্যানিক। ওষুধের দোকানের ফাঁকা তাক দেখে আতঙ্ক গ্রাস করছে, এই বুঝি বাজার থেকে উঠে যাবে টয়লেট পেপার। করোনাকে প্যান্ডেমিক হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সে কারণেও প্রয়োজনাতিরিক্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকেই।
কেন টয়লেট পেপার নিয়ে বাড়াবাড়ি?
মজার ব্যাপার হল, করোনা ভাইরাস আর টয়লেট পেপারের উৎপত্তি একই জায়গায়। হ্যাঁ চিন দেশ। চিনা রাজ পরিবারের ব্যবহারের জন্য প্রথম টয়লেট পেপারের চল শুরু হয়। টয়লেট পেপার কিন্তু শুধু শৌচের কাজেই ব্যবহৃত হয় না। গা মুছতে, ঘাম মুছতেও ব্যবহার করা হয়। ভারতীয়রা বরং এর বদলে ব্যবহার করেন জল। তাই আমাদের এখানে টয়লেট পেপারের আকাল হওয়া কিন্তু প্রায় অসম্ভব।