Advertisment

কোভিডে প্রচন্ড কাশি হচ্ছে? কীভাবে সুস্থ থাকবেন- জেনে নিন

কাশিতে ফাঁসিবেন না, সতর্ক থাকুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

করোনা আতঙ্কে সবথেকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে জ্বর, সর্দি এবং কাশি। বেশিরভাগ মানুষ মৃদু উপসর্গ হলেও তাদের মধ্যে কিন্তু সর্দি কাশি লেগেই আছে। কারওর এই কাশি এতই বুকে কষ্ট দিচ্ছে, যে মানুষের একেবারে নাজেহাল অবস্থা। কারওর এই কোভি ড থেকেই বুকে ঠান্ডা জমে কষ্টদায়ক কাশি এবং কারওর আবার গলার মধ্যে খুসখুস ভাব লেগেই রয়েছে। তাহলে এখন উপায়?

Advertisment

গলায় কাশির ভাব কিন্তু থেকে যাচ্ছে অনেকদিন। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও প্রচুর মানুষের এই সমস্যা একেবারেই থেকে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার এমনও জানাচ্ছেন যে কাশির চোটে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়! কেউ কেউ আবার এর সঙ্গেই হালকা শ্বাসকষ্টের মত অনুভব করছেন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে, আশেপাশের কেউ হাঁচি কাশি দিলেই যেন মন কেমন আতঙ্ক বলে ডেকে ওঠে! কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাবেন তবে?   

চিকিৎসকরা কী বলছেন? 

তারা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের মৃদু হোক কিংবা জোড়ালো দুটি উপসর্গের মধ্যেই যেন দেখা যায়, কাশির লক্ষণ। এবং এই কাশি থেকে বেরোনো কফ কিংবা অন্যান্য জলীয় ড্রপলেট থেকেই কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি পুনরায় অক্সিজেনের সমস্যা হতে পারে। যেহেতু এখন ঠান্ডার সময় তাই সাধারণ ফ্লু থেকেও ব্রঙ্কনিমুনিয়া হতেই পারে। তবে এখন থেকেই পরবর্তীতে অমিক্রন কিংবা কোভিডের এই ধাপকে বুঝে ফেলা সম্ভব নয়। তাই যতটা সম্ভব নিজেকে সাবধানে রাখা প্রয়োজন। 

তবে দুই ভ্যারিয়েন্ট বদলে গেলে তাতে কাশির ধরন বদলায়! এই ক্ষেত্রে যেমন কাশির থেকেও বেশি অসম্ভব চুলকানি এবং জ্বলুনি অনুভূত হচ্ছে। সেটি খুব কষ্টদায়ক। সারাদিনে মানুষ কেশেই চলেছেন, কেউ কেউ আবার হালকা বমির সমস্যায় ভুগছেন এই থেকে।  তাই কাশি কিন্তু আপনার মহামারীর সাপেক্ষে কমন ফ্যাক্টর। তবে শুকনো কাশির সম্ভাবনাই বেশি! এবং এর সঙ্গেই একধরনের হালকা গরম ভাব গলার কাছে অনুভূত হয়। কাশি থেকে বুকে আওয়াজ এবং ব্যথার লক্ষণ মিলছে। 

কীভাবে কমাবেন এই কাশি? 

চিকিৎসকরা বলছেন কাশি কমানোর প্রাকৃতিক এবং ঔষোধিক দুই রকমের পথ আছে! তাই যেটা আপনার ভাল লাগে। কাশি মানুষকে এতটাই কষ্ট দিতে পারে যে আপনার মানসিক শান্তি গায়েব হতে থাকে। সুতরাং কী করবেন? 

বেটাডাইনের ওষুধ ( লিকুইড ) কিনে রাখুন। সারাদিনে অন্তত একবার ১চামচ জলে ফেলে দিয়ে গার্গেল করলে আপনিই আরাম পাবেন। 

যদি আপনার অ্যালার্জির ধাত থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ ব্যাবহার করুন, লাভ হবে। 

অ্যান্টি বায়োটিক তখনই খাবেন যদি আপনার চিকিৎসক পরামর্শ দেয়। সবসময় এটি খাওয়াও কিন্তু ঠিক নয়, এতে আপনারই সমস্যা হতে পারে। এবং বিশেষ করে শরীরের পক্ষে সবসময় এটি ভাল না। 

যদি প্রাকৃতিক উপায়ে আরাম পেতে হয় তবে বেশি কিছু না, অল্প তুলসী পাতা কিংবা যোস্থি মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। বাসক পাতা খেতে পারেন। কিংবা কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে সেই তেল গলার কাছে মালিশ করতে পারেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

COVID-19 Omicron Cough
Advertisment