বুস্টার প্রক্রিয়া আসলেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং যতদূর জানা যাচ্ছে প্রথমেই বয়স ষাট এর ঊর্ধ ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে এই বুস্টার। কারণ রোগের সঙ্গে লড়তে তাদেরকে আগে থেকেই নিশ্চিতভাবে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। পরবর্তীতে জানা গিয়েছিল, স্বাস্থ্য কর্মী এবং প্রথম শ্রেণী কিংবা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দেওয়া হবে এই বুস্টার। শঙ্কা ছিল কোন ডোজ নেওয়া হবে বুস্টার হিসেবে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মিশ্র নয়, বরং যে যেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন তারই বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
তবে আইসিএমআর সূত্রে জানা গিয়েছে বুস্টার ডোজ হিসেবে কিন্তু কোভ্যাক্সিন একেবারেই শিরোধার্য। কোভিড বুস্টার ডোজ হিসেবে এটিকে ICMR এর তরফ থেকে আগেই দেওয়া হয়েছিল ছাড়পত্র। নানা গবেষণার মধ্যে দিয়েই এই বুস্টার ডোজ প্রমাণিত বলেই ভারত বায়োটেক থেকে জানানো হয়েছে। এমনিতেও বেশিরভাগ মানুষ এই পর্যায়ে এসে নয়তো উপসর্গহীন নয়তো বা মৃদু উপসর্গের শিকার, সুতরাং ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেই যে আপনি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারেন এই নিয়ে একেবারেই কোনও সন্দেহ নেই।
বারবার এই সম্পর্কেই জানানো হচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হলে অন্তত ছয়মাস পরেই নেওয়া যাবে তৃতীয় ডোজ কিংবা বুস্টার। এতে শারীরিক অ্যান্টিবডি যেমন বৃদ্ধি পাবে তার সঙ্গেই ইমিউনিটি প্রচন্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। তবে বেশ কিছুদিন হল, শুরু হয়েছে তৃতীয় ডোজ এবং তারপরেই মানুষের শরীরে কিন্তু এর রিয়াকশন দেখা যাচ্ছে, অনেক চিকিৎসকদের মন্তব্য শরীরে হাই অ্যান্টিবডি যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশজুড়ে ওমিক্রন এবং করোনা সংক্রমণ। মানুষ ফের আতঙ্কে, এর মধ্যে বুস্টার এবং তার এই নিদারুণ কার্যকারিতা যেন বেশ স্বস্তির। তবে যারা এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে ঠিক কী নিয়ম হতে চলেছে সেই নিয়ে এখনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে করোনা আক্রান্ত হলে ভ্যাকসিন গ্রহণে অন্তত তিন মাসের বিরতি রাখার কথাই বলা হয়েছিল। চিকিৎসকরা এমনই জানিয়েছিলেন নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর তীব্রতা থেকে বাঁচতে একমাত্র বুস্টার ডোজ কার্যকরী। সুতরাং সেই বিষয়ে সকলকে ধ্যান দেওয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসকদের মতামত, এখনও পর্যন্ত বুস্টার গ্রহণের পর কারওর শরীরে কোন অসুবিধে দেখা যায়নি। কেউ কেউ হালকা জ্বরের কথা উল্লেখ করলেও খুবই সামান্য সময়ের জন্যই সেটি শরীরে দেখা গিয়েছে। তাই চিন্তার এখনও পর্যন্ত কোনও কারণ নেই, এবং পরবর্তীতেও থাকবে না বলেই আশা করছেন তারা।