ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এবং সেই সঙ্গেই বাড়ছে মানুষের মনে উদ্বেগ। যদিও এইসময়ে দাঁড়িয়ে করোনা আবহে হাসপাতাল নয়, বাড়িতেই থাকতে বেশি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবং তাতেও জারি করা হয়েছে নানারকম গাইডলাইন। যেগুলি মেনে চলা আবশ্যিক! তবে নয়া গাইডলাইন অনুসারে কী কী রাখা হয়েছে তাতে।
স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দ্বারা, নয়া যে গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে তাতে কিন্তু বেশ খোলসা করেই সুস্থ থাকার সবরকম উপায়, নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে যাঁরা মৃদু উপসর্গ যুক্ত তাঁরা কিন্তু আদতেই আক্রান্ত, এবং অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা থাকতে হবে ৯৩%। শ্বাসযন্ত্রের যত্ন নিতে হবে। হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের মতামত অনুযায়ীই তাঁর বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে। রোগীর কাছে জেলা স্তরের ক্লিনিকাল কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়া থাকবে পরবর্তী পর্যায়ের সুবিধার্থে। অবশ্যই বাড়ির অন্য কারওর সংস্পর্শে আসা যাবে না। আপনাকে সাহায্য করতে পারে এমন একজন কেয়ার গিভারকে মোতায়েন করা হবে। যাতে তিনি এবং মেডিক্যাল অফিসার আপনার সেবায় কাজ করতে পারেন।
বিশেষ উল্লেখ্য, যারা ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মানুষ, তাঁরা সহরোগ কিংবা কোমর্বিড হলে চিকিৎসকের অনুমতি পেলেই বাড়িতে থাকতে পারেন।
রোগীদের জন্য নির্দেশ :
- সবার থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে হবে। ঘর যেন অবশ্যই আলাদা হয়, বিশেষ করে বাড়ির বয়স্কদের থেকেও।
- অবশ্যই ঘরে যেন ক্রস ভেন্টিলেটর থাকে, এবং জানলা খোলা রাখবেন। প্রাকৃতিক হাওয়া ঘরে ঢোকা দরকার।
- বাড়িতে থাকলেও সবসময় তিন লেয়ার মাস্ক পরে থাকবেন এবং ৮ ঘণ্টা পর সেটিকে পরিবর্তন করবেন। যদি আপনার দেখভালের জন্য কেয়ার গিভারের প্রয়োজন হয়, তবে অবশ্যই দুজনেই এন ৯৫ মাস্ক পরে থাকুন।
- মাস্ক কেটে ফেলে কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা পেপার ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখুন।
- রোগীকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড জাতীয় খাবার এবং জল খেতে হবে। শরীরে আর্দ্রতা রাখতেই হবে।
- হাঁচি, কাশি সর্দির ক্ষেত্রে দেখভাল করুন।
- হাত সাবান দিয়ে ৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে ধোবেন। স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে নিন।
- ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং খাবার দাবারের বাসনপত্র অন্যের সঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
- ঘরে থাকা স্পর্শকাতর বস্তু, তথা ফোন, ল্যাপটপ, দরজার হাতল সবকিছু ডিস ইনফেকশন দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- রোজ অক্সিজেন পালস দিয়ে পরিমাপ করুন। শরীরের তাপমাত্রাও দেখে নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকের সঙ্গে প্রতিদিনের আপডেট শেয়ার করুন।
কেয়ার গিভারদের নির্দেশ:
- অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এন ৯৫ হলে বেশি ভাল।
- মাস্কের সামনের অংশ হাত দিয়ে ধরা যাবে না।
- মাস্ক ভিজে গেলে কিংবা নোংরা হয়ে গেলে অবশ্যই সেটিকে বদলে নিন।
- হাত দিয়ে নাক, চোখ, মুখ ধরবেন না।
- চোখে চশমা ব্যবহার করুন।
- খালি হাতে রোগীকে ধরবেন না। হাতে ডিসপোজাল গ্লাভস ব্যবহার করুন।
- হাত ধোয়ার আগে ধারে কাছে একটি টাওয়াল রাখুন। সম্পূর্ণ হাত ধোয়া হলেও সেই টাওয়াল আগে হাতে নিন তারপরেই জলের ট্যাপ বন্ধ করুন।
- রোগীর হাঁচি কাশি জাতীয় কোনও কাপড় ধরবেন না। বারবার হাত ধুতে থাকুন।
কখন শেষ হবে নিভৃতবাস?
৭ দিন সম্পূর্ণ পার হলে। এবং যদি জ্বর তিনদিনের পর না আসে তবেই আইসোলেশন থেকে মুক্তি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মাস্ক পরা বন্ধ করবেন না। শরীর দূর্বল না থাকলে অবশ্যই আর বিশ্রামের প্রয়োজন নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন