দেশজুড়ে কমতে শুরু করেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবুও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুলক্ষের কাছাকাছি। এখনই করোনাকে কোন ভাবেই হালকা করে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কোভিডের সাধারণ লক্ষণ গুলি ইতিমধ্যেই সকলেরই জানা। তবুও বেশ কিছু নয়া উপসর্গ সামনে এসেছে। সাধারণ লক্ষণ যেমন কাশি, সর্দি, জ্বর, গলা ব্যথা ছাড়াও অনেকের মধ্যে ক্লান্তি লাগাও করোনার অন্যতম একটি উপসর্গ। এছাড়াও মাথাব্যথা, গন্ধ এবং স্বাদ হ্রাস, পিঠে ব্যথা এবং পেশী ব্যথার মতো বেশ কিছু লক্ষণও সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। এবার বেশ কিছু রোগীর শ্রবণশক্তি হ্রাস বা কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হচ্ছে, যাকে বিশেষজ্ঞরা 'কোভিড ইয়ার' বলেও অভিহিত করেছেন।
“করোনাভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করে। তবে, শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি এটি কান, নাক এবং গলাকেও প্রভাবিত করে। গন্ধ এবং স্বাদ হারানো কোভিড ১৯ এর লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও, একাধিক রোগী কানে ভোঁ ভোঁ শব্দের সঙ্গে শ্রবণশক্তি হ্রাসেরও রিপোর্ট করেছেন, যা টিনিটাস নামে পরিচিত। এটি ‘কোভিড ইয়ার’ নামেও পরিচিত, বলেছেন বিশিষ্ট পালমোনোলজিস্ট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ সন্তোষ ঝাঁ। কেন এমন হচ্ছে এপ্রসঙ্গে ডক্টর ঝাঁ জানিয়েছেন, গবেষকদের মতে, মানুষের কানের ভেতরের টিস্যুতে এমন প্রোটিন থাকে যা SARS-CoV-2 ভাইরাসের আক্রমণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আমাদের কানেও ভারসাম্য হারানোর বা টিনিটাসের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।"
কীভাবে সনাক্ত করবেন এই সমস্যা-
* শ্রবণশক্তি হারানো
* টিনিটাস
* ভারসাম্য হারানো
* কানের ব্যথা
এই সমস্যাগুলি কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। সমস্যা যদি গুরুতর হয় তবে একজন অভিজ্ঞ ইএনটির সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার বলছেন ডক্টর ঝাঁ।
আমাদের জানা প্রয়োজন টিনিটাস কী-
নাক-কান-গলার বিভিন্ন রোগের সঙ্গে বা আলাদাভাবে কানে ঝিঁঝি পোকার বা স্টিমারের মতো আওয়াজের এই সমস্যা অনেকেরই হতে পারে। এই বাড়তি যে আওয়াজ, একে বলা হয় টিনিটাস (Tinnitus)। ল্যাটিন যে শব্দ থেকে ইংরেজি শব্দটির উৎপত্তি 'টিনিয়ার', তার অর্থ হলো ঘণ্টার শব্দ।
সমস্যা সমাধানের জন্য কী করবেন-
* প্রচুর জল খান।
* ভালো করে খাওয়া-দাওয়া এবং প্রচুর বিশ্রাম নিন।
* মধু বা কাশির ওষুধ দিয়ে আপনার কাশি এবং গলা ব্যথা প্রশমিত করুন।
* লক্ষণ বৃদ্ধি পেলে চিকিৎসকের কাছে যান