চারিদিকে করোনা গ্রাফ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ মানুষই উপসর্গ হীন। আবার কেউ কেউ যারা সহরোগ দ্বারা আক্রান্ত তাদের মধ্যে বেশ কিছু বাড়াবাড়ির ঝলক মিলছে। তবে বেশিরভাগই দেখা যাচ্ছে, ক্যালপল এবং প্যারাসিটামল দিয়েই দিনযাপন করছেন, এতে আর কিছুই নয় বাড়ছে রোগের মেয়াদ এবং ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস।
ICMR এর তরফ থেকে পেশ করা হয়েছে নয়া গাইডলাইন বিশেষ করে কাদের কাদের কোভিড টেস্ট করলা প্রয়োজন সেই সংক্রান্ত। বিস্তারিত ধারণা দিয়ে জানানো হয়েছে মানুষের মধ্যে কি ধরনের লক্ষণ থাকলে টেস্ট করা প্রয়োজন। আবার বয়স্কদের ক্ষেত্রে থাকছে বেশ কিছু অদলবদল। বছর ষাটের উর্ধ্বে সুগার, প্রেসার, তীব্র ফুসফুস এবং কিডনির রোগ, ওবেসিটি থাকলে কি করতে হবে জানানো হয়েছে।
কাদের টেস্ট করানো অবশ্যই প্রয়োজন?
সম্প্রদায়ের মধ্যে:
- উপসর্গ যুক্ত : সর্দি কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, স্বাদ এবং গন্ধ চলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদির হদিশ মিললে।
- ল্যাবরেটরির সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা, বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও ষাট বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিগণ যারা বিশেষ করে সুগার, প্রেসার, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস এবং কিডনির রোগ, স্থূলতা এগুলি থাকলে।
- যেসকল ব্যক্তিরা আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করেছে তাদের। ( দেশ অনুযায়ী আরও সতর্কতা রাখা উচিত )
- যারা আন্তর্জাতিক স্তরে ভ্রমণ করে ভারতীয় বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, জাহাজ বন্দরে আসছেন তাদের টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।
হাসপাতালের ক্ষেত্রে:
- চিকিৎসকের বিবেচনার ভিত্তিতে এবং নানা বিষয়ে চোখ বুলিয়ে এই খাতে কাজ হবে ;
- পরীক্ষার অভাবে কোনও জরুরি প্রক্রিয়া যথা অপারেশন এবং ডেলিভারি বিলম্বিত করা যাবে না।
- পরীক্ষার অভাবে অন্যত্র তাকে স্থানান্তর করা যাবে না। নমুনা সংগ্রহ থেকে স্থানান্তর সর্বত্রই দায়িত্ব নিয়ে করা উচিত।
- উপসর্গ হীন ব্যক্তিদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এমনকি সার্জারির ক্ষেত্রেও যদি না উপসর্গ দেখা যায়, টেস্ট করানোর প্রয়োজন নেই। গর্ভবতী মহিলাদের ডেলিভারির আগেও প্রয়োজন নেই, লক্ষণ দেখলে তবেই টেস্ট করুন।
কারা টেস্ট করবেন না?
- সম্প্রদায়ের মধ্যে যাদের মধ্যে একেবারেই উপসর্গ নেই।
- করোনা রোগীর সঙ্গে সংস্পর্শে এলেও, নিশ্চিত করতে হবে তার সঙ্গে সহবাস করেও কোনও লক্ষণ নেই। নয়তো উচ্চ ঝুঁকি থাকবে।
- রোগীদের যাদের হোম আইশলেশনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
- ডিসচার্জ নীতি অনুযায়ী, যাদেরকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
- সচরাচর যারা আন্ত রাজ্য ভ্রমণ করেছেন তাদের।
টেস্টিং এর উপায় পদ্ধতি:
আইসিএমআর সূত্রে জানা গেছে, টেস্টিং সম্পন্ন হবে RTPCR, true nat, CBNAAT,CRISPR, Rapid molecular testing অথবা বাড়িতে বসে টেস্ট - তবে মাথায় রাখতে হবে দ্বিতীয়বার নয় প্রথমবারেই কাজ সারতে হবে।
যাদের দ্রুত পরীক্ষা সম্পন্ন হবে এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসবে তাদের সঙ্গে সঙ্গে আইশলেশনে যাওয়া আবশ্যিক এবং যত্ন নিন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে যথা, যাদের মধ্যে নানা ধরনের রোগ বিদ্যমান তাদের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রয়োজনে হাসপাতালে নিতে পারেন।