চা মানেই একরাশ সতেজতা। এক কাপ চায়ে শরীর সুস্থ রাখার হরেক গুণ রয়েছে। জেনে নিন সেগুলো। বৃষ্টি হোক বা মুড সুইং, ঘুম ভাঙ্গার প্রহর বা অলস বিকেল, এক কাপ চা না হলে কিন্তু একদম চলে না। চা মানেই আমেজ। চা মানেই সতেজতা। চা মানেই জোর কদমে পাড়ার মোড়ে আড্ডা। চা মানেই পলিটিক্স, ময়দান আর বায়োস্কোপ নিয়ে চর্চা। দৈনন্দিন জীবনে কাচের কাপে চুমুক দিলেও, মাটির ভাড়ের গন্ধ হার মানায় সবকিছুকেই।
সাধারণত চা বলতে , দুধ চা আর লিকার চা-কেই বোঝায়। তবে এলাচ, আদা আর লবঙ্গ মশলা চায়ের দোসর হিসেবে পরিচিত। অনেকসময় লিকার চায়ে অল্প একটু বিটনুন আর লেবু দিলেই শরীর চাঙ্গা করার কেল্লা ফতেহ!
তবে, সবসময়ের এক স্বাদ বাদ দিয়ে, অন্য কিছুও ট্রাই করতে কিন্তু ভালোই লাগে। হরেক রকমের চা এখন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, বর্তমানে অনেকেই ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় ভোগেন। তাই তাদের জন্য চা মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে। রকমারি চা এর মধ্যে রয়েছে-
• গ্রিন টি : চায়ের মধ্যে সবথেকে উপাদেয় এই গ্রিন টি। এটি ক্যামেলিয়া সাইনসিস লিভস দিয়ে তৈরি এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় এতে ক্যাফিন একদম কম মাত্রায় থাকে। এই চায়ের পাতা তুলে , শুকিয়ে, সেকে নিয়ে তৈরি করা হয়। তুলসী, আদা, এলাচ, মধু এবং মিন্ট এসব ফ্লেভারে পাওয়া যায়। গ্রিন টি হাই ব্লাড সুগার রোগীদের জন্য বেশ উপকারী এবং এটি অতিরিক্ত মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
• আইসড গ্রিন টি : রিফ্রেশমেন্ট এর আরেক নাম আইসড গ্রিন টি। ওয়ার্ক আউটের পর এটি দারুণ কাজে দেয়। গ্রিন টির সাথে বরফ কুচি, সঙ্গে লেবু আর মিন্ট দিলেই এক্কেবারে তৈরি।
• ইনফিউশন টি : চা এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল তার অ্যারোমা বা গন্ধ। ইনফিউশন টি, নানান জৈবিক উৎপাদিত গাছ-গাছালি- যেমন- গোলাপ, হিবিস্কাস, মরিঙ্গা ইত্যাদির সঙ্গে গ্রিন টি মিশিয়ে তৈরি হয়। এই চা শুধু স্বাদ আর গন্ধে ভালো নয়, পাশাপাশি গলার সমস্যায় এবং সাইনাসেও দারুণ উপকারী।
• ব্ল্যাক টি : সারা বিশ্বের সবচেয়ে চাহিদসম্পন্ন চা গুলির মধ্যে একটি হল ব্ল্যাক টি। চিনে তৈরি এই চা-কে রেড টিও বলা হয়। এটি সুদিং ,এবং যথেষ্ট মাত্রায় মুড চাঙ্গা রাখে। আদা এবং এলাচের অ্যারোমা ব্ল্যাক টি-কে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করে। ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হাই কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি পেতে এটি এক্কেবারে উপযোগী।
• হারবাল টি : চামোমিলে, হিবিস্কাস, আদা, লেমনগ্রাস ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয় হারবাল টি। অনেক সময় নানান রকম ফলের ফ্লেবার যুক্ত করা হয়। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এতে ক্যাফাইন একদমই থাকে না এবং সাধারণ চায়ের পাতা দিয়ে এটি তৈরি নয়। নানান পরীক্ষা করে তারপর এই চা পাতা বানানো হয়। শরীরের নানারকম সমস্যা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার! আর বরফ দিয়ে হারবাল টি শরীর ঠান্ডা করে।
কথাতেই আছে, চায়ে পে চর্চা! তবে চা নিয়ে চর্চা কিন্তু না করলেই নয়। অতিথি আপ্যায়ন থেকে স্ট্রেস রিলিজ, চা মানেই চিন্তার অবসান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন