শুভ কাজের আগে মা নিশ্চই দই চিনি না খাইয়ে বেরতে দেন না? একটু হলেও কিন্তু সেই মুহূর্তে বিরক্তি লাগারই কথা। অনেকে এমনও বলেন দই চিনি আসলেই অন্ধ বিশ্বাস, কোনও লাভ নাকি হয় না। তবে আয়ুর্বেদ বলছে শতাব্দী প্রাচীন এই নিয়ম জেনে বুঝেই মানুষ শুভ কাজ কিংবা গুরুত্বপূর্ন কাজের আগে করে থাকেন। কেউ আবার না জেনেই করেন।
Advertisment
শুধুই কি গুড লাক? একেবারেই না এটি কিন্তু শরীরের পক্ষে খুব কার্যকরী। অবশ্যই দই স্বাদে যেমন ভাল তেমনই আহার হিসেবেও যথেষ্ট ভাল। চাকরি বাকরি অথবা পরীক্ষা, যাই হোক না কেন এটি কিন্তু এখন থেকে আপনার জীবনে মাস্ট হওয়া উচিত।
কারণ, এটি প্রথমত ডাইজেস্টিভ অথবা হজমের ক্ষেত্রে খুবই ভাল। পরীক্ষা কিংবা ইন্টারভিউ থাকলে মানুষের জীবনে খুবই চাপ থাকে যেই থেকে অম্বলের সমস্যা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মত রোগ দেখা দিতে পারে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এটি কিন্তু খুবই দরকার। পেটের গ্যাস অম্বল দুর করতে বদ হজম কমাতে এর থেকে ভাল আর কিছুই নেই।
দ্বিতীয়ত, এটি মানুষকে মানসিক ভাবে শান্ত রাখে। কাফা দশায় মানসিক শান্তি চালিত হয় এবং সবথেকে বড় কথা দই কাফা বর্ধক। পড়াশোনা মনে রাখতে কিংবা মনোযোগ বজায় রাখতে এটি বেশ সাহায্য করে। মন শান্ত থাকা এই সময় সবথেকে বেশি জরুরি।
তৃতীয়ত, শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এটি বেশ ভাল কাজ করে। শরীরে প্রদাহ কম করে এবং সাধারণ ভাবেই একে ঠান্ডা রাখতে পারে। আসল কথা এটি একেবারেই জলের চাহিদা কমায়। ফলে মানুষ জল কম খান কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
তাই শুধু অন্ধবিশ্বাস নয় বরং শরীরকে ভাল এবং ঠান্ডা রাখতেও এটি বেশ ভাল।