কারিপাতা শব্দটা প্রথমে শুনলেই মনে আসে দুটি বিষয় এক দক্ষিণী রান্না এবং দুই বেশ অন্যরকম সুন্দর একটি গন্ধও। ফ্রেশ এবং বেজায় টেস্টি! খাবারে যেন একদম অন্য মাত্রা এনে দেয়। সম্বর হোক কিংবা বাঙালির নোনতা সুজি এটি ব্যতীত টেস্টই আসবে না। কিন্তু কারিপাতা আপনার চুলের যত্নে কতটা পারদর্শী জানেন কী?
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা ডিকসা ভাবসার উল্লেখ করেন, আপনার চুলের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হল কারিপাতা। এবং সেই কারণেই আগেরকার দিনে মা এবং দিদিমারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে এটিকে বাড়িতেই উৎপাদন করে নানান কাজে ব্যবহার করতেন। আর বর্তমান যুগে চুল এবং ত্বক দুটির অবস্থাই বেশ শোচনীয়। তাই খাবার ছাড়াও এটির হেয়ার কেয়ারের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিই?
• তেল হিসেবে কারিপাতা সাধারণত যাদের অল্প বয়সেই চুল পেকে যায় এবং চুল পড়তে থাকে তাদের জন্য এটি সবথেকে ভাল। এক থেকে দুই কাপ নারকেল তেল বা আপনার পছন্দসই তেল এবং একমুঠো কারিপাতা নিয়ে ভাল করে ফোটান। পাতা কালো হয়ে আসা পর্যন্ত সেটিকে গরম করুন এবং ঠান্ডা হলে অন্য বোতলে ঢেলে দিন । চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভাল করে লাগিয়ে নিন। সারারাত সেটিকে রেখে দেওয়ার পর পরেরদিন শ্যাম্পু করে ফেলুন।
• কারিপাতা খুশকি এবং উকুন দূরীকরণে কারিপাতা এবং বাটার মিল্কের এক মসৃন পেস্ট চুলের স্কাল্পে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট মতো রেখে দিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক দুইদিন বিরতিতে এটি ব্যবহার করলে ভীষণ ফল পাবেন।
• চুলের পুষ্টিতে কারিপাতা: কারিপাতা ভেজানো জল এবং তার সঙ্গে অল্প পরিমাণে তুলসীর জল মিশিয়ে তুলো দিয়ে স্কাল্পে লাগিয়ে রাখলে এর গোড়া যেমন শক্ত হয়, চুল পরস্পরের সঙ্গে লেগে যায় না এবং সিল্কি থাকে।
শরীরের পক্ষেও কিন্তু কারিপাতা বেশ ভাল! প্রতিদিন সকালে আট থেকে দশটি কারিপাতা সকালে চিবিয়ে খান অথবা জলে ফুটিয়ে কিংবা জুস বানিয়ে। পেট ঠান্ডা রাখে, হজম ভাল হয় ফলেই শরীর সুস্থ থাকে।
আর একাধারে যখন এটি পেট এবং মাথা দুটিকেই ঠান্ডা রাখে তখন আর কী ভাল উপায় আছে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন