আপনি জানেন যে আপনার নিজের ভাল থাকা এবং খারাপ থাকার বিষয়ে আপনি নিজেই দায়ী? শুধু আপনার কাজকর্ম নয় তার সঙ্গেই দায়ী অতিরিক্ত বেশ কিছু অভ্যাস যেগুলি আপনাকে ভাল থাকতে দেয় না। অথচ আপনি বুঝতেই পারছেন না যে এমন কিছু হতে পারে। কারণ আপনার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার কেউ যে নেই। তাহলে করবেন কী?
বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলির মতামত বলছে, এমন কিছু বদ অভ্যাস আপনার রয়েছে যেগুলি আপনাকে মানসিকভাবে অসুস্থ যেমন করে তুলছে তেমনই আমরা বুঝতেও পারিনি যে এমন আদতে হতে পারে ফলেই নিজেদের শুধরানোর চেষ্টা একেবারেই করি না। আর এই ধরনের অভ্যাসগুলো যদি আপনার থেকে থাকে তবে অবশ্যই এর থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে এবং তার জন্য নিজেকে আগে থেকে বোঝাতে হবে। কারণ আপনার নিজের ভাল থাকা জরুরি।
অলসতা অথবা চলতি ভাষায় কোনও কাজের মাঝেও চুপ করে বসে থাকা। এটি কিন্তু বেজায় সমস্যাদায়ক। কাজ করতে করতে অলসতার কারণে সেই থেকে বিরতি নেওয়া এবং সেই সময় দাড়িয়ে যদি কারওর সাহায্যের প্রয়োজন হয় সেটি থেকে বিরত থাকা এটি খুব খারাপ। এতে নিজেদের মধ্যে যেমন সম্পর্ক অন্যদিকে মোড় নেয় তেমনই নিজের অভ্যাসও খারাপ হয়।
এর ওর নামে গসিপ করা একেবারেই বন্ধ করুন। এতে হাজারও মিথ্যে থাকে এবং এটি আপনার নিজের স্বভাব খারাপ করে দেয়। কারওর সম্পর্কে গসিপ তো করবেন নাই বরং অন্যদের বারণ করুন। যদি এমন মনে হয়, কারওর কোনও স্বভাব ভাল লাগছে না তবে তাকে গিয়ে সোজাসুজি বলে দিন। তবে পরণিন্দা বন্ধ করুন।
জল সঠিক পরিমাণে না খাওয়া। এই অভ্যাস কিন্তু খুব খারাপ। যেকোনও সময় জল কিন্তু খেতেই হবে। অন্তত সারাদিনে ২/৩ লিটার জল অবশ্যই খান। দরকারে পাশে জল নিয়ে বসুন এবং মিছরী জল, লেবু জল এগুলো উপরি হিসাবে খেতেই পারেন।
বেশি ভাবনা চিন্তা বন্ধ করুন। আর অবশ্যই ভুলভাল ভাবনা চিন্তা করবেন না। যতই হোক না কেন নিজেকে নেগেটিভ কিছু বোঝাবেন না। সবসময় পজিটিভ থাকুন। খারাপ ভাবার অভ্যাস থাকলে জীবনে এগোতেই পারবেন না। তাই সকালে উঠেই শুভ শুভ ভাবুন এবং নিজের গতিতে এগিয়ে যান।
ঘুমানোর একটি সঠিক সময় নির্বাচন করুন। সঠিক সময়ে বিশ্রাম না নিলে শরীর উল্টে খারাপ হবে। এবং বেশি রাত করলে আরও সমস্যা। তাই ঘুমানোর সঠিক নিয়ম মেনে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন। দুপুরবেলা না ঘুমানোর চেষ্টা করুন। সকালে উঠে দেখবেন মন খুব ভাল থাকছে।
তবে, এই ছিল কিছু খারাপ অভ্যাসের লক্ষণ! এগুলি মানলেই কিন্তু লাভ হবে, জীবন সুন্দর হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন