হাতে যখন দাদা বৌদির বিরিয়ানি, তখন আর লাভ সামলানোর উপায় থাকে। সে থাকুক হালকা পাতলা রোগ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও সামলাতে পারলেন না। উল্টে, খেলোয়াড় মজলেন বিরিয়ানিতে।
Advertisment
দিনে তিন কেজি চাল দিয়ে বিরিয়ানি হত একসময়, সেখানে গিয়ে পৌঁছল প্রায় ১৫০০ কেজির বিরিয়ানি। পাঁচতলা মল এখন পুরোটাই বিরিয়ানি। ব্যারাকপুরের দাদাবৌদি এখন ভারতবিখ্যাত। শুধু যে বিরিয়ানি এমনটা নয়, সেখানে ফিশ ফ্রাই থেকে কেবাব কী মেলে না? তারাই এবার উপস্থিত ছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। আসল দাদা এবং আসল বৌদির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
গন্ধ নাকে যেতেই মন্ত্রমুগ্ধ দাদা। তাঁকে বাংলার দাদা বলা হলেও তিনি প্রকাশ্যে বললেন, এই দুজন আসল দাদা আসল বৌদি। আর বিরিয়ানি হাতে পেতেই আর থামাথামি নেই। সোজা ডুব দিলেন। সৌরভ এও বললেন, এই বিরিয়ানি দারুণ। কোনও কথা নেই। তারপরই তাঁদের বলতে শোনা গেল, কীভাবে এসেছে এই বিখ্যাত নাম। ধীরেন বাবু এবং সন্ধ্যা দেবীর মিলিত এক কর্মযজ্ঞ আসলে দাদা-বৌদি।
বর্ষীয়ান ধীরেনবাবু বললেন, মানুষ ভালবেসেছেন। তারা ভালবেসে দিয়েছেন এই নাম। আমায় দাদা, আমার স্ত্রীকে বৌদি। একসময়, টিনের চাল, গুমটি ঘর থেকে শুরু হলেও এখন পুরোটাই বিরিয়ানি প্যালেস। সব ফ্লোরেই বিরিয়ানি আর বিরিয়ানি। আর সেই স্বাদ আজও যথেষ্ট উপভোগ করেন খাদ্যপ্রেমীরা। বিরিয়ানি বলতেই রীতিমতো, কলকাতার বড় বিরিয়ানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন দাদাবৌদি।