লকডাউনের সময় সারাদিনের স্ন্যাকিং বা টুকটাক খাওয়া অবশ্যই বন্ধ রাখা উচিত। পুষ্টিবিদরা ফ্রিজের খাবার খাওয়ারও পক্ষপাতী নন সাধারণভাবে। এই সময়ের স্বাস্থ্যকর ডায়েট বজায় রাখা কঠিন, কারণ একঘেয়েমি কাটাতে অনেকেই বেশি বেশি খাবার খাচ্ছেন। লকডাউনের সময় সম্ভবত আমাদের কাছে স্বাস্থ্যকর খাবারদাবারের চেয়ে কেক, বিস্কুট, চকোলেট, চিপসের পাল্লা ভারী হতে থাকে। কিন্তু বাইরের খাবার খাওয়া ঠিক নয়, এবং পাওয়াও যাবে না। তাই বাড়িতে তৈরি বাসী খাবারদাবার দিয়ে কিছু নতুন পদ বানিয়ে ফেললে কেমন হয়? এমনই দুটি রেসিপি আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব - যা পুষ্টিকর, আবার মুখরোচকও বটে।
ডালের টিকিয়া
উপকরণ
বাসি ডাল - রান্না করা
পেঁয়াজ কুচি - ১টা বড়
কাঁচালঙ্কা কুচি - ১ টেবিলচামচ
নুন - স্বাদমতো
রসুনকুচি - ১ টেবিলচামচ
ছাতু - ১ টেবিলচামচ
জোয়ান - ১/২ চা-চামচ
ধনেপাতা কুচি (না হলেও অসুবিধা নেই)
ভাজবার জন্য সাদা তেল
প্রণালী: যে কোনও বাসি রান্না করা ডাল কড়াইতে দিয়ে একদম শুকিয়ে ঠান্ডা করে নিন। শুকনো ডালের সঙ্গে বাকি সব উপকরণ ভাল করে মেখে নিন। মাখাটা চেখে নিন, একটু ঝাল ঝাল হবে। এবার হাতের তেলোতে তেল লাগিয়ে টিকিয়ার আকারে গড়ে নিতে হবে। একটা ননস্টিক প্যানে তেল গরম করে শ্যালো ফ্রাই করুন। বেশ মুচমুচে করে ভাজবেন মাঝারি আঁচে। চায়ের সঙ্গে বিকেলবেলা দারুণ লাগবে ডালের টিকিয়া।
ডালের টিকিয়া। প্রতীকী ছবি
বাসি রুটির এগ পরোটা
উপকরণ
বাসি রুটি - ২টি
ডিম - ২টি
নুন - স্বাদমতো
পেঁয়াজ কুচি - ১টা বড়
টম্যাটো কুচি - ১টা
কাঁচালঙ্কা কুচি - ২চা-চামচ
ভাজবার জন্য সাদা তেল
প্রণালী: প্রথমে রুটিগুলো চাটুতে একটু সেঁকে নিন। দেখবেন বেশ ফুলে ফুলে উঠবে। এইবার একটা করে ডিম ফেটিয়ে নিয়ে তাতে পরিমাণমতো নুন, লঙ্কা, পেঁয়াজ, টম্যাটো দিন। ঠিক অমলেটের মতো ফেটিয়ে নিন। এইবার চাটুতে একটা রুটি দিন। রুটির ফুলকো খানিকটা ফুটো করে ফেটানো ডিম ঢেলে দিন। দেখবেন যেন পুরো রুটিটায় ছড়িয়ে যায়। গ্যাসের আঁচ কম রাখবেন। এবার চাটুতে অল্প তেল দিয়ে খুব ঢিমে আঁচে পরোটার দুটো দিক মুচমুচে করে ভেজে নিন। আস্তে আস্তে রান্না করার জন্য দেখবেন ভিতরে ডিমটাও ভাল করে জমে গেছে। একইভাবে অন্য রুটিটাও করে ফেলুন। সকালের নাস্তা হিসেবে খুব সহজেই এটা পরিবেশন করতে পারবেন।