সারা বছরে নানান সময় এর থেকে যেন রেহাই নেই। কারওর বর্ষা শেষে কারওর আবার শীতকালে খুশকির অত্যাচারে অতিষ্ট অনেকেই। মাঝে মধ্যেই অতিরিক্ত চুলকানি অনুভব তার সঙ্গে মাথা দিয়ে ঝরে পড়ার অস্বস্তি। এবং এর থেকে সূত্রপাত আরও নানান চর্মরোগের।
খুশকি স্কিন এবং চোখের পক্ষে ভীষণ খারাপ একটি বস্তু। এটি যেখানে পড়বে সেখানেই নয়ত সাদা ছোপ কিংবা সেই স্থানে অ্যালার্জি জাতীয় চর্মরোগের সৃষ্টি হয়। বয়স, আবহাওয়া, চাপের মাত্রা, চিকিৎসা পরিস্থিতি, চুলের প্রসাধনী, অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া ইত্যাদির মতো বিভিন্ন কারণ খুশকি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এর থেকে কীভাবে পুরোপুরি মুক্তি মেলে সেই সম্পর্কে সঠিক ধারণা অনেকেই দিতে পারেন না।
ডার্মাটোলজিস্ট মাধুরী আগরওয়াল সম্প্রতি খুশকি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, খুশকি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় এবং সহজ একেবারেই নয়। মাথা ঠাণ্ডা রেখে আদৌ ঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করছেন কিনা সেইদিকে নজর রাখতে হবে। তার মতামত অনুযায়ী,
• খুশকি তখনই হয় যখন শরীরের ভিতরের কোষগুলি বন্ধ হয়ে যায়। চামড়া যখন ভিতর থেকে শুকনো হয়ে যায়, তখনই এটি ফ্লেক্স হিসেবে ঝড়ে পড়ে। শরীরের এরম অনেক শুকনো চামড়াই কয়েক মিনিটে ঝড়ে পড়ে যেগুলি নজরে আসে না। তবে খুশকি গায়ে হাতে পড়লে কিন্তু খুব মুশকিল।
• খুশকি হলে কী চুলের নানান প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত? একেবারেই না। কোনও রকম স্টাইলিং বস্তু এবং প্রসাধনী থেকে বিরত থাকুন। আর যেগুলি ব্যবহার করবেন খেয়াল রাখবেন যেন সেটি খুশকির উপদ্রব বাড়িয়ে না তোলে। পারলে সপ্তাহে দুইদিন লেবু এবং ভিনিগার মিশিয়ে স্কাল্পে লাগিয়ে রাখুন। রিঠার জল দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন।
• আপনার মাথার কোষে সিবেসিয়াস গ্রন্থি বেশি রয়েছে। তাই খুশকি প্রতিরোধের জন্য সেরাম উৎপাদন করতে হবে।
• মনে রাখবেন সবসময় খুশকি থেকেই চুল পড়ে না। এর জন্য অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে।
তাই বলে খুশকি একদম পুষে রাখবেন না! ছোট কিছু ঘরোয়া জিনিসেই পেতে পারেন এর থেকে আরাম! যেমন?
• মনে করে মাসে দুবার হেনা করুন।
• নারকেল দুধ এবং সঙ্গে ছিটেফোঁটা মধু মিশিয়ে তুলো দিয়ে স্কাল্পে লাগিয়ে রাখুন, পরে শ্যাম্পু করে নিন।
• অ্যালোভেরা পাল্প সঙ্গে মিন্ট অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দুদিন ব্যবহার করুন।
• ছাঁচি পেঁয়াজের রস লাগানো অভ্যাস করুন।
• অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার জলে মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন স্নানের পর গোটা চুলে লাগিয়ে নিন।
• মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন লেবুর রস মিশিয়ে বেটে মিশ্রণ তৈরি করুন। চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন